এক বান্ধবী শত্রু আর এক বান্ধবী! আর সেই শত্রুতার ফলেই দেখুন, নদীয়ার বুকে কি কাণ্ড ঘটলো…..

মলয় দে নদীয়া :- এক বান্ধবী অন্য বান্ধবীকে, তার পরিবার থেকেআত্মগোপন করে রেখেছে, কি কথাটা শুনে চমকে উঠলেন?তবে, এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো এবার গোটা নদীয়াবাসী…কারণ, এক বান্ধবীর দ্বারা আরেক বান্ধবির পরিবারকে আজ যা ফল ভোগ করতে হলো, তা দেখলে হয়তো আপনি রীতি মতন আতঙ্কিত হয়ে যাবেন…শুরুর আগেই আপনাদের সকলকে সাবধান!নদীয়া শান্তিপুর বাইগাছি মোড়ের বাসিন্দা শিবু পাল এবং সুদেষ্ণা পালের একমাত্র সন্তান ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণীর ছাত্রী সোমা পাল নিখোঁজ গত পাঁচই জুন শুক্রবার দুপুর তিনটে থেকে।

পরনে একটি ছাপা চুড়িদার এবং হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল ছাড়া বাড়ি থেকে অন্য কিছুই সে নিয়ে যায়নি বলেই জানা গেছে পরিবার থেকে। যদিও নাবালিকা কিন্তু প্রণয় ঘটিত কোন সম্পর্ক কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে মা সুদেষ্ণা পাল জানান, এর আগে বাড়ির কাছাকাছি একটি সম্পর্ক হয়েছিলো তবে দুই বাড়ির অভিভাবক মিলে তার নিষ্পত্তি হয়েছিলো।

তবে কোনরকম সন্দেহ নেই সেই ছেলেটি সেই থেকে বাড়িতেই রয়েছে তা দেখে।বরং প্রতিবেশী তুষার সাহার মেয়ে তিস্তা সাহা আমার মেয়ের সাথে রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠে একই ক্লাসে পড়ে। এমনকি নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন রাত্রি বেলায় সে ওদের বাড়িতেই ছিলো। আমরা অত্যন্ত অভাবী হওয়ার কারণে মেয়েকে মাঝেমধ্যেই নানান কাজের প্রলোভন দেখা তো এটা আমি জানতাম। তবে মেয়ের বান্ধবী হিসাবে সে যে এভাবে এতো বড় ক্ষতি করবে তা বুঝতে পারিনি। যদিও নিখোঁজ ডায়েরি করার পর পুলিশ প্রশাসনের জেলার মুখে কখনো বলছে নাবালিকা কখনো জানাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ তার ব্যাঙ্গালোরের বয়ফ্রেন্ড জানে সোমা কোথায় আছে? কখনো বলছে গঙ্গাসাগরে মনোজিৎ নামে একটি ছেলের সাথে ও থাকতে পারে।

তবে এই তিস্তা সাহা নামে মেয়ের বান্ধবীকে পুলিশ প্রশাসন চাপ দিলেই আমার মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।অন্যদিকে নিখোঁজ সমাজ বাবা শিবু পাল একজন বহুরূপী মডেল শিল্পী সামান্য উপার্জনে কোনরকমে সংসার অতিবাহিত করেন তাই মেয়েকে এ ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনিও বিশ্বাস করেন।