এবার চোর সন্দেহে এক ব্যক্তির সাথে পুলিশ প্রশাসন দেখুন কি কান্ড ঘটিয়ে বসলো?

বাবলু প্রামাণিক দক্ষিণ ২৪ পরগনা :- এই মুহূর্তে আতঙ্কের একটাই নাম, ছেলে ধরা….ঠিক করোনা মহামারীর মতন, এই ছেলে ধরার আতঙ্ক আজ এতটাই বেড়েছে যে, সবাইকেই দেখে মনে হচ্ছে ছেলে ধরা/ আর এই ভুলে পা দিয়েই, এবার দেখুন শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কিভাবে কাঠগড়ায় এসে দাঁড়ালো…ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০শে জুন। ওইদিন মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয়৷ এরপর পয়লা জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ মহসিন হালদার ও তাঁর ভাইপো আবু সিদ্দিককে থানায় তুলে আনে বলে অভিযোগ।

মহসিনকে দিয়ে ভাইপোর নামে জোর করে চুরির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর আবু সিদ্দিককে থানার মধ্যে দফায় দফায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ৪ জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে। ওইদিন জামিন দেয় আদালত। গুরুতর অসুস্থ আবু সিদ্দিককে মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতলে ভর্তির চেষ্টা হয়।

কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল পার্কসার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাত দশটা নাগাদ যুবকের মৃত্যু হয়। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, আদালতে পেশ করার সময় মেডিক্যালে কোন সমস্যা ছিল না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।