অ্যাকশন মুডে পুরসভা-পুলিশ, চলছে বুলডোজার! জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই শহর এবং শহরতলিজুড়ে চলছে বুলডোজার। একেবারে অ্যাকশন মুডে পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। একের পর এক জায়গায় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ নির্মান। হঠাত করে এমন প্রশাসনিক তৎপরতায় মাথায় হাত হকারদের।সমস্ত কিছু হারিয়ে কীভাবে চলবে সংসার।এই অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হকার উচ্ছেদ নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা আছে। যেখানে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুরসভা, সচিব এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।গত কয়েকদিন আগে পুর-পরিষেবা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজারহাট-নিউ টাউন, সল্টলেক থেকে হাতি বাগান, গড়িয়াহাট জুড়ে বেআইনি স্টল নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই বিষয়ে পুর চেয়ারম্যান, বিধায়ক-মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনিক আধিকারিক কাউকে রেয়াত করেননি মুখ্যমন্ত্রী। নিউ টাউনে লোক বসানো নিয়ে সরাসরি সুজিত বসুর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন,সল্টলেকের অবস্থা দেখে আমার লজ্জা লাগছে’। কেন কাউন্সিলাররা কাজ করছেন না প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।এমনকি এনকোচমেন্ট দেখেও সবাই চুপ করে বসে আছে।

এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, কেউ টাকা খেয়ে কাজ করছে। একটা চক্র কাজ করছে। এমনকি থানার আইসি কিংবা তার উপরেও টাকার ভাগ কার্যত পৌঁছে যাচ্ছে বলেও একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রশাসনিক প্রধান। এভাবে রণংদেহী মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের। এমনকি চাপে পড়ে যান বৈঠকে উপস্থিত ফিরহার-অরূপরাও।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই ময়দানে নেমে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। অ্যাকশনে নামে পুরসভাও। সন্ধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘিরে পুলিশ আধিকারিকরা দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সল্টলেকের কলেজ মোড় থেকে শুরু করে গোদরেজ ওয়াটার সাইট পর্যন্ত, আলিপুর, গড়িয়াহাট চত্বর সব চষে বেড়ায় পুলিশ। পুরসভার তরফেও মাইকিং করে দোকানদারদের সাবধান করা হয়। কিন্ত্যু এরপরেও বহু অবৈধ দোকান এবং জমায়েত রয়েছে। আর সেগুলিকে ভাঙতে কলকাতা এবং শহরতলিতে একেবারে বুলডোজার এনে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।