মলয় দে নদিয়া :- হঠাৎ আকর্ষিকভাবে স্বামীর মৃত্যু, আর হয়তো সেই কারণেই দুটি শিশু থাকা সত্ত্বেও, কেবলমাত্র একটি ফ্যানের সাহায্যে, তার এমন পরিণতির ফল স্বরূপ কিছু ঘন্টা কাটতেই, এবার গৃহবধূর ঘর থেকেই উদ্ধার হল, এমন একটি রহস্যময় চিরকুট…..আর যে চিরকুটকে ঘিরেই এখন, নদীয়ার এই গৃহবধূ কাণ্ডের তদন্তের মোড় ঘুরে গেল অন্যদিকে…..কিন্তু কি এমন লেখা ছিল সেই চিরকুটে? দেখুন একটিবার…….শান্তিপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রথ তলা ন নম্বর পুকুরপাড় লেনের বাসিন্দা ঝুমা পাল নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সাহায্য নিয়ে, নিজের ঘরেই ঘটিয়ে বসেন এমন ঘটনা।
প্রসঙ্গত ঝুমাদেবের স্বামী শিশির পাল প্রায় আড়াই বছর আগে মারা যান। ১৪ বছরের এক নাবালিকা কন্যা এবং 10 বছরের নাবালক পুত্র নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। মূলত সংসার খরচ যোগানোর জন্য তিনি বেছে নেন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কাজ, বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে কাজ করার পর শান্তিপুরেরই একটি রেস্টুরেন্টে অপর এক কর্মচারী শান্তিপুর ভবানী পাড়া নিবাসী অমিত ভবানী সাথে তার প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।এই মৃত্যুর পর শিশিরবাবুর দাদা সমীর পাল এবং দিলীপ পাল শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানান অমিত ভবানীর বিরুদ্ধে, তাদের মতে এই সম্পর্ক অস্বীকার কিংবা তাদের ভাইয়ের বউয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক রাখার পর অমিত ভবানী বিয়ে করতে না চাইলে হয়তো লজ্জায় দুঃখে হয়তো এমনটা করেছে ভাইয়ের বউ ঝুমা পাল।
তবে সে সময় ঝুমা দেবীর ব্যবহৃত মোবাইল খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার তিন দিন বাদে অর্থাৎ ২২ তারিখ মোবাইল এবং তার সাথে থাকা একটি সুইসাইড নোট লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা। সাথে সাথে শান্তিপুর থানার পুলিশকে খবর দিলে তারা তা উদ্ধার করে নিয়ে যায় । তবে মৃত্যুর কারণ হিসাবে পরিবারের পূর্বের দাবি সত্যি প্রমাণিত হয় সুইসাইড নোট থেকে।
সেখানে ঝুমা দেবী স্পষ্ট লিখে রেখে গেছেন, অমিত ভবানী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার পর বর্তমানে বিবাহে অসম্মতি জানিয়েছিল শুধু তাই নয় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এরই মধ্যে কোন একদিন তাকে ফোন করে ডেকে ভবানী পাড়ার অমিত ভবনীর বাড়িতে ডেকে, মা মিতা ভবানী এবং বিবাহিত বোন তৃষা ভবানী দুজন মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে, আর এই কারণেই হয়তো তার এমন পথ বেছে নেওয়া….