একি কোন কলেজ নাকি টাকা খাওয়ার স্বর্গরাজ্য, দেখুন, কেঁচো খুঁড়তেই কিভাবে বেরিয়ে এল নদীয়ার এই কলেজের কেউটে……

মলয় নদিয়া :- কি আমাদের কথাটা শুনে চমকে উঠলেন?ভাবছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার, এ কেমন অভিযোগ?তবে এই ঘটনা আজ বা কালকের নয় বরং বছর ধরে চলে আসছে, এমনই ঘটনা…যেখানে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সিকেই তুলে, অধ্যাপক থেকে প্রাক্তন ছাত্র এমনকি বর্তমান ছাত্ররাও পড়ে রয়েছে এমন ঘটনাকে ঘিরে…কিন্তু কেন হঠাৎ,একে অপরের মধ্যেচলছে এমন টাকা খাওয়ার অভিযোগ? জানুন বিস্তারিত…..সম্প্রতি শান্তিপুর কলেজে একাংশের অধ্যাপক অধ্যাপিকা শিক্ষা কর্মীদের সাথে ছাত্র সংসদের একাংশের মতবিরোধ চরম ওঠে। অধ্যাপক নিগ্রহ থেকে শুরু করে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতা হানির অভিযোগ , শিক্ষার পরিবেশ কলুষিত করে কুরুচিকর স্লোগান পোস্টার, পরে অশান্তি লেগেই রয়েছে।তাতে বাদ যায় না কলেজ কর্মচারী বনাম বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্র ।

একেবারে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, যত দিন যাচ্ছে তত প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তা সে সদ্য প্রস্তুত প্রাচীর নির্মাণে ফাটল হোক কিংবা অভিভাবকদের টয়লেট নির্মাণ, সরকারি মাইনে বহির্ভূত ভাবে অধ্যাপক কে দেওয়ার চেক হোক বা টেন্ডারে গোলোযোগ, নানান অভিযোগে ইতিহাসের অধ্যাপক রামকৃষ্ণ মন্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি তথা প্রাক্তন ছাত্রনেতা মনোজ সরকার এবং বর্তমান ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকা লালন শেখ।

তারা প্রত্যেকেই এই ব্যাপক দুর্নীতিতে গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট শান্তিপুরের বিধায়ক ড: ব্রজ কিশোর গোস্বামীর নির্দেশ এবং মদত আছে বলে, মতামত ব্যক্ত করেন।অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের নবীন বরণ ,সোশ্যাল হোক বা ম্যাগাজিন কিংবা শিক্ষামূলক ভ্রমণ প্রাপ্ত অর্থ অনুযায়ী না হোক কিংবা একেবারেই না হোক, সবেতেই ছাত্র সংসদের একাংশ এবং বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্রদের সই করে টাকা ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন ইতিহাসের অধ্যাপক রামকৃষ্ণ মন্ডল।

তবে, দিনের পর দিন জটিল হয়ে ওঠা এই সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর কলেজের সর্বময় কর্মকর্তা গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক ড: ব্রজ কিশোর গোস্বামী, অবশ্য বলেন বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্র কিংবা ইউনিট সম্পাদক কি বললেন তাতে কিছু যায় আসে না কারণ কলেজ চালায় গভর্নিং বডি। যেখানে সরকারি নিয়ম দেখে নেওয়ার জন্যও থাকে ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্তৃপক্ষ। শুধু পদাধিকারী নয় একজন কলেজ শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে আরটিআই করে যেকোনো তথ্য জানতে পারে।কিন্তু একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কতটা যুক্তিযুক্ত? জানান আপনাদের মতামত….