আজ থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো সমস্ত জাতীয় উদ্যান এবং সমস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল

সানি রয় জলপাইগুড়ি :- জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত গরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওরাভেলি জাতীয় উদ্যান, চাপরামারি সেঞ্চুরি সহ সমস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল। আজ থেকে আর জঙ্গলে ঢুকে বন্যপ্রাণী দেখার এবং জঙ্গলে ঘোরার সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন না পর্যটকেরা।এমন কি ইচ্ছে থাকলে ও জঙ্গলের গভীরে বন বাংলো গুলিতে রাত্রিযাপনের সুযোগ মিলবে না । কারন বন্যপ্রাণীদের প্রজনন কালীন সময় ধরা হয় ১৫ ই জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় কাল কে । সেই কারনে নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয় পর্যটক দের প্রবেশের ক্ষেত্রে।  পাশাপাশি এই সময় জঙ্গলে বর্ষার কারণে গাছপালা বেড়ে যায়।  জঙ্গলের গভীরে যাতে বন্যপ্রাণীরা তাদের প্রয়োজন কালীন সময়ে কোন ভাবে বিরক্ত না হয়।

তার জন্যই জঙ্গলে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয় বনদপ্তরের তরফে।ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের তরফে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। জঙ্গল বন্ধ রাখার। এই তিন মাস গোটা দেশের অন্যান্য বনাঞ্চল গুলির মত ডুয়ার্সের গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওড়া ভ্যালি, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, বক্সা সহ সমস্ত সংরক্ষিত  বনাঞ্চল এবং জাতীয় অভয়ারণ্য বন্ধ করে দেওয়া হলো পর্যটকদের জন্য। ডুয়ার্সের অন্যান্য জায়গায় ঘুরতে এলেও হাতির পিঠে আর সাফারি করা বা জঙ্গলের গভীরে জীপ সাফারির সুযোগ মিলবে না। সেই সাথে জঙ্গলের গভীরে হাতি, বাইসন, গন্ডার ময়ূর দেখার উপায় করতে পারবেন না। তাই পর্যটকরা তাই কিছু টা হলেও মন ভার পর্যটক দের ।বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ীদের ও মন খারাপ।এই তিনমাস তাদের ব্যবসা বন্ধ। তাই বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনার পর কিছু বনদপ্তর  ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এই সময় খোলা থাকবে  কালিকাপুর জঙল ক্যম্প,ধুপঝোরা ইকো টুরিজিম ক্যাম্প,পানঝোরা জঙল ক্যম্প, হর্নবিল জঙল ক্যাম্প,টুকটুকি ওয়াচ টাওয়ার,।কারণ বন্যপ্রাণীরা যাতে কোনভাবে মানুষের দারা বিরক্ত করা না হয় সেই কারণেই কিন্তু গোটা দেশজুড়ে জঙ্গলে মানুষের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাছাড়া এই সময় বর্ষাকাল  জঙ্গলে গাছপালা ও বেড়ে যায় রাস্তাঘাট খারাপ হয় বিভিন্ন জায়গায় মেরামত করার জন্য একটু সময় দরকার হয় বলে মনে করে বনদপ্তর।  তবে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পর্যটকদের জন্য সমস্ত জাতীয় উদ্যান সংরক্ষিত বনাঞ্চল খুলে যাবে।সীমা চৌধুরী , অনারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন বলেন, আজকে থেকে তিন বন্ধ থাকবে সমস্ত জঙ্গল।

 বন্ধ হয়ে গেল সমস্ত জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল।পর্যটকরা আর জঙ্গলে হাতির সাফারি অথবা জিপ সাফারি করতে পারবেন না। কারণ এই সময় টি বন্যপ্রাণীদের প্রজননকালীন সময়।  ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে। ডুয়ার্সের পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসের কর্মকর্তা নফ্সের আলী বলেন , প্রতিবছর এই সময় জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায় কারণ এই সময়টা বন্যপ্রাণীদের প্রজন করার সময়। তাই সাধারণ মানুষকেও আমরা অনুরোধ করব যাতে কেউ জঙ্গলে প্রবেশ না করে।