আলিশ ভাঙ্গে না ছেলেদের,তাই সকালের স্কুলে ভিড় মেয়েদের।

সংকল্প দে :- গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে তীব্র গরমের মধ্যে স্কুল খোলার পরেই সকালের স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতির সংখ্যা বেশ চোখে পড়ার মতো। শনিবার সকাল ৭টা থেকে আরম্ভ হল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে গঠন। এ বিষয়ে শিক্ষা দফতর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুক্রবার সকালে থেকে পঠন-পাঠন শুরু করে বেশ কয়েকটি স্কুল। প্রথম দিনেই এই সিদ্ধান্তের সুফলও মিলেছে হাতেনাতে। স্কুলে বেড়েছে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার। শিক্ষকদের দাবি, প্রথম দিনে সকালে স্কুল খোলার খবর সমস্ত পড়ুয়ার কাছে সম্ভবত পৌঁছয়নি। সকলে জানলে উপস্থিতির হার হয়তো আরও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, তীব্র গরমের কারণে প্রায় পঞ্চাশ দিন বন্ধ থাকার পরে সোমবার থেকে রাজ্যের অন্য জায়গার মতো জেলার সমস্ত স্কুলে শুরু হয়েছিল পঠন-পাঠন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়েই শুরু হয়েছিল পড়াশোনা। কিন্তু স্কুল খোলার পরেও তীব্র গরম থাকায় স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। রাজ্যের স্কুলগুলি যাতে স্থানীয় আবহাওয়ার উপরে ভিত্তি করে স্কুলের পঠন-পাঠনের সময় নিজেরা স্থির করতে পারে, সেই মর্মে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অনুরোধ করা হয় সেই বিজ্ঞপ্তিতে।

সে মতো বৃহস্পতিবারেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এবং পড়ুয়াদের জানিয়ে এ দিন সকাল থেকেই শুরু হয় পঠন-পাঠন। তবে আজ অর্থাৎ শনিবার সকাল ৭টা থেকে ময়ূরেশ্বর দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আরম্ভ হল পঠন-পাঠন। একইভাবে আজ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে বলে ও জানা যায়। এ বিষয়ে কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন দাস জানান ‘স্কুল খোলার পরেই দুদিন আমরা ডে স্কুল করেছি তাতে দেখেছি খুবই নগণ্য ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু আজকে মর্নিং স্কুল হওয়ায় প্রায় ফিফটি পার্সেন্টেজের উপর ছেলে-মেয়ে উপস্থিত হয়েছে ক্লাসে।