প্রচন্ড গরমে আপনি কি জানালা খুলে শুচ্ছেন? তাহলে, নিজেকে সতর্ক করার জন্য এক্ষুনি দেখুন নদীয়ার এই ভয়াবহ ঘটনা……

মলয় দে নদিয়া :- সাবধান! নইলে আপনার সাথেও যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে এমন দুঃসাহসিক ঘটনা…আর তখন, কপাল চাপড়েও আর লাভের লাভ কিছু হবে না কারণ গরম থেকে মুক্তি পেতে জানালা খোলা রাখায় কিভাবে হয়ে গেল, নদীয়ার এই পরিবার সর্বশ্রান্ত? দেখুন, সেই ঘটনা….নদীয়ার শান্তিপুর অত্যন্ত জনবসতিপূর্ণ এবং প্রাচীন এলাকা শহরের ছ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলা গোস্বামী বাড়ির নাট মন্দির সংলগ্ন। আর সেখানেই গতকাল রাতে নাথ পরিবারে ঘটে গেলো এমন দুসাহসিক চুরি।তবে, চুরি যাওয়া সোনার অলংকারের পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা প্রায় ডাকাতির সমতুল্য।

শান্তিপুর ডাকঘরে সুপ্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রনিক্সের দোকান প্রান্তিক নাথের। গতকাল জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে স্ত্রী বাপের বাড়িতে গেলেও ব্যবসায়িক কাজের কারণে তার যাওয়া হয়নি শশুর বাড়ি। উপরের দোতলার একটি ঘরে ছিলেন তিনি, অন্যটায় ভাই। নিচের তলায় মা-বাবা আর পাঁচটা রাতের মতোই জানালা খুলে শুয়েছিলেন দরজায় লাগানো ছিল ছিটকানি, যদিও সেখানে পৌঁছাতে গেলে আরেকটি গ্রিলের দরজা ছিল যাতে তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করে।তবে, ভোর চারটে নাগাদ প্রথম লক্ষ্য করেন দরজা খোলা, এরপরে আলমারি খোলা দেখে সন্দেহ হয় আলমারির পাল্লা খুলে দেখেন লকার থেকে সমস্ত সোনার অলংকার এবং নগদ অর্থ উধাও।

তবে অত্যাধিক গরমের মধ্যেও এরকম গাঢ় ঘুম হওয়ার পেছনে তিনি স্প্রে বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করার অনুমান করছেন।যদিও, নাট মন্দিরের লাগানো সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা গেছে রাত একটা ৩৭ মিনিট নাগাদ সাইকেল চালিয়ে তাদের বাড়ির দিকে আসতে, ওই সাইকেলের পেছনে আরোহী হিসাবে থাকা ব্যক্তির এক হাতে লোহার রড অন্য হাতে কিছু একটা ছিলো। তবে চুরি যাওয়া নগদ কুড়ি-পঁচিশ হাজার টাকা বাদেও আনুমানিক প্রায় দশ ভরি সোনার অলংকার ছিলো, যা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা, রুপোর গয়না কিছু থাকলেও তা যৎসামান্য।তবে প্রশ্ন একটাই! চোরেদের স্বর্গরাজ্য থেকে কবে নিস্তার পাবে নদীয়ার শান্তিপুর?