বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকলেও, কিভাবে এত বলার জোশ পায় গরু পাচারের কেষ্ট? দেখুন, জেলের ভাত খেয়েও তার সেই হুংকার..

সংকল্প দে বীরভূম :- ‘আমায় একবার এই জেল থেকে বেরোতে দে, তারপর যা বলার বলবো’ হ্যাঁ, এবার জেল থেকেই ভেসে এলো শুটিয়ে লাল করে দেওয়ার সেই অভিনেতা ওরফে কেষ্টর হুংকার…কিন্তু, জেলে থেকেও তিনি কিভাবে, পেলেন এত সাহস? দেখুন….তিহারে বসেই বীরভূমের নিজের দলের রাজনৈতিক সমীকরণ সব কিছু দেখতে আর শুনতে পাচ্ছে। কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে এইসমস্ত ,? বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি তিনি। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েকদিন পর থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।

এই প্রথম তাঁকে ছাড়াই বীরভূমে লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেল। আর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের শেষে এসে বন্দি দশা থেকেই বার্তা দিলেন কেষ্ট। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলার দলীয় সংগঠনে অনেক ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে, তা জানতে পেরেই অনুগামীদের উদ্দেশে কেষ্টর বার্তা, “আমায় ফিরতে দে, তার পর যা বলার বলব।”অনুব্রত মণ্ডলের আত্মবিশ্বাস কমেনি এতটুকুও। তাঁর দাবি, ভোটের পরই জেল থেকে নাকি বেরবেন তিনি! এমনকী আবার নিজের হাতেই সাজাতে পারেন তৃণমূলের সংগঠন।

তিহাড় জেলে বসেও সব খবরাখবর নেন তিনি। জেলার রাজনীতি, রাজ্য রাজনীতি থেকে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক খবরাখবর রাখেন অনুব্রত,এবার তাঁদের মাধ্যমেই দলের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন কেষ্ট।তবে কি তিনি সত্যিই মিস করছেন বীরভূমকে নাকি সত্যিই তিনি বেরিয়ে আসবেন ভোটের পর? এখন এটাই দেখার….