বৃদ্ধা মায়ের বয়স ৬৩, আর তাতেই বড় ছেলের হ্যাটট্রিক করা বউয়ের হাতে, নদীয়ার বুকে এ কেমন পরিণতি?

মলয় দে নদীয়া :-কথায় বলে না সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে, কিন্তু এটাই যদি রমনীর সেই গুণাবলী হয়, তাহলে শাশুড়ি তো হবেই পথের কাঁটা…না, ইনি কোন ৬৩ বুড়ি নন, বরং ৬৩ বছর বয়সী সুমিত্রা দেবী, আজ তার হ্যাটট্রিক করার ছেলের বৌমার হাতে, খেয়ে বসলেন এমন নিদান…দেখুন, নদীয়ার যে ঘটনাকে শোরগোল পড়েছে সর্বত্রই,,…একসময় বড় বৌমা ,মেজোবৌমা এভাবেই ডাকতেন শাশুড়িরা, তবে বৈধ পরকীয়ার কল্যাণে এখন ছেলের বউ ও বৌমাদেরর সে সব পরিচয় কিছুটা কমে বেড়েছে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষ তৃতীয় পক্ষে।তবে, এরকমই এক বড় ছেলের তৃতীয় পক্ষের বৌমার কাছে বেধরক মারধর খেয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলেন শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়া নন্দীর মাঠের বাসিন্দা ৬৩ বছর বয়সী বিধবা বৃদ্ধা সুমিত্রা সরকার।যদিও, আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে গত হয়েছেন স্বামী স্বর্গীয় সুভাষচন্দ্র সরকার এরপরে বসতবাড়ি এবং সেই সংলগ্ন জমি নিয়েছে এবং ছোট ছেলে তারা সপরিবারে কর্মসূত্রে থাকে ব্যাঙ্গালোরে। বড় ছেলে প্রভাস সরকার ভাগ হিসাবে নগদ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিলো অন্যত্র, কখনো বিবাহিত কখনো অবিবাহিত এভাবেই পরপর দুটি বিবাহ করে সে।

তৃতীয় বারের জন্য গত দুবছর আগে বর্তমান টুম্পা সরকারকে বিবাহ করে বৌমার পূর্ব বিবাহিত এক ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে এই বাড়িতেই এসে ওঠে ।তবে, মাঝেমধ্যেই সাংসারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে অশান্তি পাকিয়ে মারধর করে এমনই অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশীরাও।শাশুড়ি সুমিত্রা দেবীর কাছ থেকে জানা যায় সকালে বড় ছেলের সামনেই তার বৌমা তাকে লাথি ঘুসি কিল চড় মারতে থাকে ছেলে নাতি, আর সেইসময় ছেলেকে কোলে নিয়ে ঠেকাতে যায় কিন্তু তারই মধ্যে আমাকে মেঝেতে ফেলে পাশে পড়ে থাকা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে । বিষয়টি কর্মসূত্র বাইরে থাকা মেজ এবং ছোট ছেলেকে জানালে তারা প্রতিবেশী কয়েকজন যুবককে দিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। এরপর হাসপাতালের অনুমতিক্রমে তিনি শান্তিপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।তবে আজকের এই ঘটনা থেকে, এটাই দেখার তাদের ভবিষ্যৎ কতখানি উজ্জ্বল?