১৬ বছরের এক মেয়ের রূপ নিয়ে, ভট্টাচার্য বাড়িতে কে চেয়েছিলেন মাছ খেতে? দেখুন, নদীয়ার হবিবপুরের ৯০০ বছরের প্রাচীন জাগ্রত মা কালীর পুজোর সেই রহস্য…..

শুভঙ্কর পাল হবিবপুর :- কি আমাদের কথাটা শুনে খুব অবাক হলেন?ভাবছেন মা কালী হয়ে কিভাবে চাইলেন মাছ খেতে?তবে, বিশ্বাসে মিলাই বস্তু তর্কে বহুদূর হলেও, আজও নদীয়ার হবিবপুরের এই ভট্টাচার্য বাড়ির কালীপুজোর রহস্য শুনলে সারা গা শিহরণ দিয়ে ওঠে….তাই, আজ ফলহারিণী অমাবস্যার এই বিশেষ যোগে জানুন, ৯০০ বছর ধরে কি ঘটছে এই কালিমার সাথে……৯০০ বছরের প্রাচীন স্বপ্নাদেশে পাওয়া হবিবপুর পুরাতন বাজার সংলগ্ন ভট্টাচার্য বাড়িতে আজও পুজিত হচ্ছে ফলহারীনী আমাবস্যায় কালী মায়ের বিশেষ পূজা।বছরের ১২ টা আমাবস্যা পূজা মধ্যে বিশেষ করে ৩ টি আমাবস্যা তে, কালি মায়ের পূজোতে আজও মাছ ভোগ ছাড়া পূজা হয়না ভোগের পসাদে মাছ হিসেবে দিতে হবে তাহলে মায়ের পূজা দেওয়া যাবে মায়ের স্বপ্নাদেশ।

কোনো এক সময় কালি মা ১৬ বছরের এক মেয়ে রূপ ধারণ করে মাছ খেতে চেয়েছিলেন এই বাড়িতে এবং না দেওয়া তে সে রেগে চলে যায় এবং ওই রাতে তাদের বাড়িতে পুকুর থেকে মন্দির পর্যন্ত মাছ ছড়ানো অবস্থায় থাকে মা ওই রাতে স্বাপ্নাদেশে দেন এবং বলেন মাছ ভোগ দেওয়া জন্য বলেন এর পর থেকে আজও কালি মায়ের পূজোতে বছরের বিশেষ ৩ টি আমাবস্যায় পুজোতে মায়ের মাছ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় এবং এবারও পূজা শেষে ভক্তদের উদ্দেশ্যে মাছ ভোগ প্রসাদ হিসেবে ও ফল প্রাসাদ বহু ভক্তকে খাওয়ানো রীতিনীতি আজও চলে আসছে হবিবপুর ভট্টাচার্য বাড়ির কালী মায়ের পূজোতে।পাশাপাশি জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই ফলহারিণী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। মোক্ষফল প্রাপ্তির জন্য এই অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে ৷এইদিন মাকে বিভিন্ন মরশুমি ফল দিয়ে পুজো করা হয়। কিন্তু এই অমাবস্যাকে কেন ফলহারিণী অমাবস্যা বলা হয় জানেন? জেনে নিন, এই দিনটির মাহাত্ম্য।বলা হয়, এই অমাবস্যার তিথিতে মায়ের পুজো ভালো ভাবে সম্পন্ন করলে, মা সমস্ত অশুভ ফলের নাশ করে শুভ ফলের প্রাপ্তি ঘটান ৷ সমস্ত অশুভ কর্মফল হরণ করেন বলেই এই অমাবস্যার কালীপুজোরে ফলহারিণী কালীপুজো বলা হয়।

এই দিন পরমহংস রামকৃষ্ণ দেব মা সারদাদেবীকে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন ।তাই রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই ফলাহারিণী কালীপুজো ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত।বলা হয় পাশাপাশি দক্ষিনেশ্বর ও তারাপীঠ মনদিরে, বিশেষ পূজা করা হয় এই দিন মায়ের বিশেষ পুজোয় সকলের বিদ্যা, কর্ম ও অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে। সাংসারিক দাম্পত্য জীবন ও নানা ক্ষেত্রে মানুষ যে বাধার সম্মুখীন হন, সে বাধা কেটে যায় এবং মায়ের কৃপায় অভিষ্ঠ ফল লাভ হয়। সেই সঙ্গে মানসিক ও আধ্যাত্মিক দিকের জাগরণ ঘটে এই বিশেষ তিথিতে ৷ফলহারীনী আমাবস্যায় পুজো বিষয়ে হবিবপুর ভট্টাচার্য বাড়ির সদস্যরা আমাদের ক্যামেরায় সামনে কী জানাচ্ছে আমরা বিস্তারিত শুনে নেব