হতে পারে সে ৮০ বছরের বুড়ো, কিন্তু এখনো কিভাবে বিধায়ক পদে থেকে, তিনি দেখাচ্ছেন তার ম্যাজিক? দেখুন……

উজ্জ্বল পাল মালদা :- কথায় বলে না বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, এজ জাস্ট এ নাম্বার…..কিন্তু আজ কেবি নিউজ বাংলা, এমনই এক বিধায়ক কে খুঁজে পেল, তার বয়স কিনা ৮০ পার…..কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এটিই / এই বয়সে তার দাঁত নড়ে গেলেও, কেন তাকে নড়ানো গেল না ১ ইঞ্চিও?দেখুন আজকের সেই বিধায়কের কীর্তি….৮০ উর্ধ্ব বৃদ্ধ সাদা পাঞ্জাবী ও সাদা ধূতি পড়ে ঘাড়ে গামছা নিয়ে চড়া রৌদ্রকে উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ফুলহার ও গঙ্গা নদীর ধারে। সাথে কিছু তাঁর সাগরেদ। সকাল,সন্ধ্যে এমনকি রাতেও দাঁড়িয়ে থাকছেন তিনি। এ যেন পাহারাদারের ভুমিকায় রয়েছেন তিনি। কাছে যেতেই হাতজোড় করে তাঁর আকুতি অনুরোধ ‘আমাদের এই নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা কর ভাই’। গত কয়েকদিনে ফুলহার ও গঙ্গা নদীর রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি অর্থাৎ শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা সমর মুখ্যার্জী। রতুয়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান। একদা দেশের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখ্যার্জী অন্তত ঘনিষ্ঠ এই ব্যাক্তি আজ নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য লড়াই এ নেমেছেন।গঙ্গা ও ফুলাহারের দূরত্ব মাত্র হাফ কিলোমিটার দুই নদী মিলিত হলে বিজেপি যেটা চাইছে বঙ্গভঙ্গ সেটা সফল হবে অর্থাৎ প্রকৃতির দ্বারা বিজেপি বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছে। যার কারনে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের সরকারের বঞ্চনা। দায়িত্বথাকা সত্ত্বেও ভাঙ্গনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার।কিন্তু আজও, সেই এলাকায় পরিদর্শনে যান বিধায়ক সমর মুখার্জি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এলাকার বিজেপি সাংসদ এখনো এলাকায় আসেননি, ভোটের সময় ভোট নিয়ে যায় আর মানুষের বিপদের সময়ে তার দেখা পাওয়া যায় না। অথচ এটা কেন্দ্রের সমস্যা। সমস্ত উত্তর ভারতের জল এসে গঙ্গায় এসে মিশেছে এবং তার ফলে এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের জমি ঘরবাড়ি সব নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি আজ সেই ভাঙ্গন রক্ষা করার লড়াইয়ে নেমেছেন। সাথে রয়েছেন…

মালদা থেকে উজ্জ্বল পালের রিপোর্ট