সাধের বুলেট বাইক নিয়ে, কেরামতি দেখাতে গিয়ে দেখুন মাঝ রাতে একি কাণ্ড….

মলয় দে নদীয়া :- আর সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ…সরকার থেকে বারবার যতই সচেতনতার প্রচার করা হোক না কেন, হাতের কাছে বুলেট বাইক থাকলে, কেউ কি তার স্বাদ না মিটিয়ে ছাড়েন….আর সেই স্বাদ, এমন ভাবে যে বেস্বাদ হয়ে যাবে, তা হয়তো নদীয়ার এই ঘটনা না দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না…নদিয়া শান্তিপুর থানার অন্তর্গত পশ্চিম কারিগর পাড়া এলাকার ২১ বছরের তরতাজা অবিবাহিত এক যুবক যার নাম সুরেশ আনসারী। বাবা আনোয়ার আনসারী ।

তিনি জানান গতকাল বিকাল আনুমানিক পাঁচটা নাগাদ তার কিনে দেওয়া বুলেট মোটরসাইকেল চালিয়ে টেংরিডাঙ্গা যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুই বন্ধুকে সাথে করে ঘুরতে বেরিয়েছিল সে । বাগআচড়া কুলোচন্ডীতলায় মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে।

সুরেশ আনসারী , এবং তার দুই বন্ধু আকিব কারিগর এবং শাহিদ কারিগর দুই বন্ধুকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে সুরেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অপর দুই বন্ধুকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুরেশের অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ তার মৃত্যু হয় ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় নামে শোকের ছায়া তবে মৃত সুরেশ আনসারীর বাইকে থাকা তারই বন্ধু আকিম কারিগর জানান বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই প্রায় 100 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল সুরেশ ।

সে এবং শাহিদ বারবার বলা সত্বেও গাড়ির গতিবেগ কমাচ্ছিল না সুরেশ। তারপর কুলো চন্ডী তলায় রাস্তার মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তার উপর এরপর সুরেশ সোজা ধাক্কা খায় একটি গাছের সাথে এবং তারা দুজন পথের পাশে জঙ্গলে ছিটকে পড়ে।

গতকাল মধ্যরাতে মৃত্যুর খবর পৌঁছালে শান্তিপুরে কারিগরপাড়ায় নেমে আসে বুকের ছায়া। হেলমেট বিহীন বেপরোয়া তীব্র গতির মোটরসাইকেলই যে এই মৃত্যুর কারণ তা মানছেন সকলের। তবে প্রশ্ন একটাই এরপরেও কি এ প্রজন্মের যুব সমাজ এভাবেই মৃত্যুর মুখে যাবে এক এক করে!