মানুষ করে বিড়ালের ন্যায় আচরণ! কেন বলছি এই কথা? বিস্তারিত পড়ুন

মলয় দে নদীয়া  :- তবে কি নদীয়ার বুকে শুরু হলো এই নতুন চুরির কান্ড? চোরের চুরি করার কথা তো অনেক শুনেছেন, আবার মাছ ভক্ত বিড়ালের, মাছের প্রতি লোভের কথা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু, মানুষের মাছ চুরির এই ঘটনা, যেন সরগোল ফেলে দিল সর্বত্রই। বেড়াল নয়! এবার বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব নতুন বছরের চিংড়ি ইলিশ পাবদা ভেটকি পমফ্রেটে থাবা বসালো দুষ্কৃতীরা। মাছে ভাতে বাঙালি যদি বাংলা বর্ষের শেষ দিন কিংবা নতুন বাংলা বছরের পয়লা বৈশাখে মাছ খেতে না পারে তাহলে মানসিক পরিস্থিতি কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে তা বোধ হয় অনুভব করতে পারছেন সকল বাঙালি। এইরকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদীয়ার রানাঘাট আনুলিয়া পঞ্চায়েত বাজারে।

সেখানে নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ গতকাল বছরের শেষ দিন মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় টাকা ধার করে কিংবা মহাজনের কাছ থেকে ধারে প্রচুর পরিমাণে দামি দামি মাছ তুলেছিলেন বিক্রির আশায়।


কিন্তু তাদের প্রায় পথে বসিয়ে গতকাল রাতে দুষ্কৃতীরা দামী দামি মাছ চুরি করে, বিক্রি করার জিনিষ পত্র তছনছ করে চম্পট দেয়। এই ঘটনার জেরে মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করতে না পেরে সমস্যায় পড়েছেন। তারা জানাচ্ছেন এত বড় অঘটন এর আগে ঘটেনি কখনো। এক এক ব্যক্তির চার পাচ হাজার টাকার মূল্যবান ভেটকি পাবদা চিংড়ি ইলিশ পমফ্রেট এ ধরনের মাছ আনুমানিক প্রায় 5থেকে 6লাখ টাকার মাছ চুরি গেছে। নষ্ট হয়েছে অনেক মাছ। শুধু কি মাছ চুরি সাথে বরফ দেওয়া মাছের পেটি মাটিতে ঢেলে কিংবা থার্মোকলের বাক্স থেকে বের করে তছনছ করেছে গোটা মাছ বাজার।

Leave a Comment