ব্যাকরণ মানি না! বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য শট পন্থের, হতবাক বোলারও

এই দস্যি দামাল ছেলেটাকে দেখতেই তো অভ্যস্থ ছিল দেশের ক্রিকেটঅনুরাগীরা। মারাত্মক পথদুর্ঘটনায় তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের উপরেই নেমে এসেছিল অন্ধকার। কিন্তু তিনি তো চিরকালের ফাইটার। মাঠের ভিতরে সাহসে ভরসা করে গাব্বায় গুঁড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার অহমিকা। সেই ছেলেটাই প্রায় ১৭ মাস পরে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে অবাক করে দিচ্ছেন বিশ্বকাপে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ৩২ বলে মারমুখী ৫৩ রান করেছিলেন। সেটা ছিল গা ঘামানোর ম্যাচ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য এক শট মারেন পন্থ। সেটা ছিল উইনিং শট। আয়ারল্যান্ডের বোলার ব্যারি ম্যাকার্থির বলটা রিভার্স শটে ছক্কা মারলেন পন্থ। এভাবেও কেউ শট মারতে পারেন! পন্থের রিভার্স শটটা উইকেট কিপারের পিছন দিয়ে সোজা উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে। পন্থের এহেন শটটাকেই বিশ্বকাপের সেরা অস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। এই শটে ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের কোনও নাম গন্ধ নেই।

পন্থ এরকমই।তবে পন্থের শট দেখে ক্রিকেটবিশ্ব বিস্মিত হলেও ভারতীয় উইকেট কিপারকে যাঁরা হাতের তালুর মতো চেনেন, তাঁরা কিন্তু মোটেও অবাক হচ্ছেন না। জেমস অ্যান্ডারসন, জোফ্রা আর্চারের মতো বোলারের বিরুদ্ধে অতীতে অবাক করে দেওয়ার মতো শট খেলেছিলেন। আইরিশ ব্যারি ম্যাককার্থিকেও সেভাবেই মারলেন। ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শ্রীসন্থ বলেন, ”জেমস অ্যান্ডারসনকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন কেমন লাগে।”দিল্লি ক্যাপিটালসে পন্থের কোচ ছিলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি বলেছেন, ”আমরা একটুও অবাক হইনি। টেস্ট ক্রিকেটে এরকম আগেও দেখেছি। জেমস অ্যান্ডারসনকে দ্বিতীয় নতুন বলে মাঠের বাইরে ফেলেছিল পন্থ। নেটে অনুশীলনের সময়ে এরকম শট খেলা একরকম, কিন্তু বিশ্বকাপে খেলা অন্যরকম ব্যাপার।” অপেক্ষাকৃত কঠিন জিনিসটাই সহজ করে দেখান পন্থ। দুর্ঘটনার পর সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলেন পন্থের পক্ষে ফেরা কঠিন, ঠিক সেই সময়ে ভারতের উইকেট কিপার ঘুরে দাঁড়ালেন। বিশ্বকাপের মঞ্চেও ফুল ফোটাচ্ছেন।