বুম্বাদার কুপ্রস্তাব এবং প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি নিয়ে শবর শ্রীলেখা!

বাংলা সিনেমা জগতের প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা ও শ্রীলেখা এরা প্রত্যেকেই বহুল পরিচিত নাম। বছরের পর বছর এরা বাংলা সিনেমা জগতে অসাধারণ অভিনয়ের ছাপ রেখেছে বাংলার দর্শকের কাছে। কিন্তু সম্পতি ঋতুপর্ণার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শ্রীলেখার যে মন্তব্য করেছেন তাতে নিজ জগতে ভালোই শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে। নিন্দুকের কথা অনুযায়ী শ্রীলেখা মাঝেমধ্যেই এরকম বিস্ফোরক মন্তব্য করেন যেটা বড়ই ঠোঁটকাটা। যদিও শ্রীলেখা নিজের দাবি করেন যে তিনি সত্য কথা বলেন।


বেশ কয়েক বছর আগে ঋতুপর্ণা এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন যে বাংলায় ঋতুপর্ণা প্রসেনজিৎ এর জুটি অনেকের ভাত কেড়েছে। তিনি আরো বলেন “আমি তো ১৫ বছর বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করিনি। তখন কেন শ্রীলেখা কাজ করল না প্রসেনজিতের সঙ্গে”।
প্রত্যুত্তরে শ্রীলেখা জানায় “আমরা প্রায় একই সময়ে ছবি করা শুরু করি। তখন তো প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা প্রেমটা ছিল আর সেই সময় ব্যাপারটা আজকের মত হতো না। প্রযোজকরা হিরোর কাছে আসতো এবং সেই সময় হিরো শুধু নায়িকা নয় চরিত্রা অভিনেতাদেরও নাম বলে দিত। এটাই ছিল তখনকার পাওয়ার গেম ।আজ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এটা তো সম্ভব নয়।”
শ্রীলেখা পরবর্তীকালে স্পষ্ট করে দেন যে কখনোই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কাছ থেকে কোনরকম কুপ্রস্তাব তিনি পানি বাজারে যে সমস্ত কথা রয়েছে তার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং পরিকল্পিতভাবে রটানো হয়েছে। আরো বলেন” আমি সেই সময় শুধু কাজ করতাম কাজের পরে কোনদিন আড্ডাও মারিনি ফলে কারোর কোন বোর্ড বকে ছিলাম না কারণ মনে করতাম কাজ করাই আমার টিয়ার আর আমি আজ পর্যন্ত কোনদিন ব্রিজ থেকে বড় করে ঘটা করে জন্মদিনও পালন করিনি।”


কাজ নিয়ে বরাবরই অহংকারী শ্রীলেখা দিনের পর দিন কাজ না পাওয়া সত্ত্বেও তিনি তা নিয়ে দুঃখ বা অভিনয় কিছুই তার নেই। দিনের পর দিন কাজ ছিল না ,চাইলে তিনি সিরিয়াল করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি।তবে কেন তিনি লাইভে প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার নাম উল্লেখ করেছিলেন সে সম্পর্কে তিনি বলেন আসলে সুশান্তের মৃত্যুর পর তিনি এই ভিডিওটি করেছিলেন। ওটা তাকে খুব টিগার করেছিল। কারণ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও অনেকের সঙ্গে এই একই রকম ঘটনা ঘটে। অনেকেই সেই সময়ে বলেছিল যে তার এসব কথা বলার কি দরকার কিন্তু তিনি মনে করেন এই সকল কথা বলা দরকার আছে। আসলে কোনদিনই শ্রীলেখা কাজের জন্য কম্প্রোমাইজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবেনা, কারণ শ্রীলেখার কাছে কতগুলি কাজ করলো সেটা ম্যাটার করে না ।ম্যাটার করে কাজ যে কাজটা সে করল, সে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সহকারে করলো