বাংলার বুকেই এ এক অদ্ভুতুড়ে গ্রাম, নেই কোন রাস্তা, আছে শুধু নদী! কিন্তু জানেন কোথায় রয়েছে এমন গ্রাম?

বাবলু প্রামাণিক দক্ষিণ 24 পরগনা :- কি কথাটা শুনে চমকে উঠলেন তাই না?ভাবছেন এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে, এমন গ্রামও আবার হয় নাকি?তবে গল্পের গরু গাছে উঠলেও, এটি কিন্তু কোন গল্প নয় বরং বাস্তবেই সত্যি..কারণ, গ্রামের মধ্যে ৩২০ টি পরিবার থাকলেও, দেখুন বিনা রাস্তাতেই কিভাবে কাটে তাদের জীবন…অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এখনো এমনই আজব গ্রাম আছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের ঈশ্বরীপুরের মানুষজন বড় অসহায়, এক পসলা বৃষ্টি হলেই কাদা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় গোটা গ্রামের মানুষজনের।

যাতায়াতের ভরসা একটি মাত্র বেহাল নদী বাঁধ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারা বছরই ওই বেহাল নদী বাঁধের ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় সারা গ্রামের মানুষদের। ৩২০ টি পরিবারের বসবাস। গ্রামটিতে নেই কোনো যাতায়াতের সরকারি রাস্তা।প্রতিনিয়ত যাতায়াতের সমস্যায় জর্জরিত গ্রামের মানুষজন।বর্ষার সময় সেই দুর্ভোগ আরো দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।নামখানা ব্লকের নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীপুর গ্রাম। বর্তমানে গ্রামটির দৈর্ঘ্য মেরে কেটে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার।

এই গ্রামে মোট ৩২০ টি পরিবার রয়েছে। সর্বসাকুল্যে দেড় হাজার মানুষের বসবাস। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে গ্রামটি যুক্ত থাকা সত্ত্বেও গোটা গ্রামে কোনরকম সরকারি রাস্তা না থাকার কারণে গ্রামের মানুষদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসীদের মতনই জীবন যাপন করতে হয়।গোটা গ্রামের মানুষের যাতায়াত একটিমাত্র ভগ্ন নদী বাঁধের উপর দিয়ে। একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছরই ওই নদী বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।

গ্রামের কোনও প্রসূতি মা কিংবা অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় নদীপথে নৌকাতে করে। কারণ যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় এম্বুলেন্স তো বহুদূরের কথা গ্রামটিতে ঢোকে না কোনো পা ভ্যানও।তবে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষদের মতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে ঈশ্বরীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে এই গ্রাম? কিভাবে ফিরবে গ্রামের হাল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ঈশ্বরীপুর গ্রামের মানুষজন।