নিশুতি রাতকে উপেক্ষা করেও, কেন গোটা রাত ধরে বাড়ির বাইরে নদীয়ার মহিলারা?

মলয় দে নদীয়া :- অনেকেই হয়তো ভাববেন! এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাই সবাই বাইরে / আবার অনেকেই এটাও ভাবতে পারেন, কোথাও হয়তো কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, তাই সবাই বাইরে..কিন্তু না / শুধু নদিয়া নয় বরং গোটা রাজ্যে এক রাতে যেভাবে মহিলারা বেরিয়ে এলো, তাতে করে আজ সত্যিই যেন বলতে ইচ্ছা করছে / রাত জাগো নারী বাঁচোতবে, সংগ্রামটা বাইরের কোন শত্রুর জন্য নয়, সংগ্রামটা নিজের দেশের নারী সুরক্ষা নিয়ে। স্বাধীনতার আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ ই আগস্ট গোটা রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করলেন শিশু, কিশোরী, যুবতী বৃদ্ধা সমস্ত বয়সের মহিলারা। স্বাধীনতার 78 বছরে এসেও এখনো আক্ষরিক অর্থে তারা পরাধীনতার চাদরে মুড়ে রয়েছেন তারই প্রতিবাদে এই নৈশ্য জমায়েত।ঘটনা অবশ্যই আর জি কর। তবে শুধুমাত্র একটা আর জি করের ঘটনা নয়, বহু বছর আগে পার্ক স্ট্রিটের মধ্যরাতের ঘটনা হোক কিংবা কামদুনির নৃশংসতা! অথবা প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের না আসা বহু রাতের নাজানা নানান বুকফাটা আর্তনাদ ! তারই বহিঃপ্রকাশ এবারের নৈশকালীন অরাজনৈতিক অসংগঠিত মহিলাদের এই অভিনব রাত জাগা আন্দোলন ।কলকাতার নামকরা হাসপাতাল গুলির মধ্যে অন্যতম সরকারি হাসপাতালে যদি এই পরিস্থিতি হয় তাহলে মফস্বল জেলাগুলির হাসপাতাল কিংবা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেখানে সারা রাত জেগে কাজকর্ম করতে হয় সেখানকার কি চেহারা ! হয়তো প্রকাশ্যে আসেনি অনেক কিছু তবে প্রতি রাতে দখল থাকবে শুধু অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা গুটিকতক নোংরা মানসিকতার লোক আর এত বড় সমাজের রাষ্ট্র ,সরকার, পুলিশ প্রশাসন সমস্ত থাকবে উদাসীন! কিছু ঘটে গেলেই বলা হবে রাতে যাওয়ার দরকার কি মহিলা হয়ে!তাই নিজেরাই এই গভীর অন্ধকার ভেদ করে ফোটাবে ভোরের আলো যেখানে তাদের স্বাধীনতা তারা নিজেরাই করবে অর্জন।