তবে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ রাজ্যের, কী হল? গরমের ছুটি বাড়ছে না স্কুলে

স্কুল খুলতেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। আবার উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র গরমের ছুটি ঘোষণা না করলেও সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলের সময়সূচি হেরফের করার অনুমতি দিল রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে পাঠানো অ্যাডভাইজরিতে স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে এলাকায় যে স্কুল অবস্থিত, সেখানকার আবহাওয়া বিবেচনা করে জুনের বাকি দিনগুলিতে ক্লাসের সময়সূচি পালটানো যেতে পারে।বে এমনভাবে সেই কাজটা করতে হবে, যাতে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। অর্থাৎ স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ছে না। কিন্তু প্রবল দাবদাহের বিষয়টি মাথায় রেখে স্থানীয় স্তরে স্কুলের সময়সূচি পালটানোর ছাড়পত্র দিল স্কুলশিক্ষা দফতর।এমনিতে প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে এপ্রিল থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে গিয়েছিল।

তারপর লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে ১০ জুন থেকে পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলেছে। কিন্তু যখন ছুটির পরে স্কুল খুলেছে, তখন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে খুদেরা। সেই পরিস্থিতিতে সকালে ক্লাস নেওয়ার দাবি উঠছিল। সেইমতো মর্নিং স্কুলের অনুমতি দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।শিক্ষক মহলের প্রতিক্রিয়াবিষয়টি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা দাবি জানাচ্ছি যে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী ৬৫ দিনের পরিবর্তে আগের মতো স্কুলগুলিতে ৮৫টি ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। স্কুলগুলি যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ছুটি দিতে পারে, সেটার অনুমতি দিতে হবে। তবেই সার্বিকভাবে পঠন-পাঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। আলাদাভাবে সরকারকে অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করতে হবে না।’তবে নাম গোপন রাখার শর্তে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন যে আপাতত স্কুলে সেরকম কোনও নির্দেশিকা আসেনি। আজও দিনের বেলায় স্কুল চলছে। সম্ভবত আজ কিছুটা পরে সরকারি নির্দেশিকা আসবে। তারপর স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক।