জলপাইগুড়ির গণেশ ৩৫ বছর ধরে কিভাবে মাতিয়ে রাখে আস্ত এক ট্রেনকে? দেখুন তার জীবন কাহিনী…

সানি রয় জলপাইগুড়ি :- কথায় আছে না, অন্ধ কানাই পথের ধারে গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে, তবে তিনি ভিক্ষে না করলেও মানুষের অন্তরে অন্তরে তিনি পৌঁছে যান তার গানের মধ্যে দিয়ে….কিন্তু ৩৫ বছর ধরে আসছে একটি ট্রেন কে কিভাবে তার জাদুতে মজিয়ে রেখেছেন তিনি?তাই হাতে সময় নিয়ে আজ একটিবার দেখুন, জলপাইগুড়ির সেই গণেশের কাহিনীকে…জোটেনি বৃদ্ধ ভাতা থেকে শুরু করে শিল্পী ভাতা প্রায় কুড়ি বছর ধরে সরকারি কোন ঘর পাননি,বঞ্চিত ১০০ দিনের কাছ থেকেও।প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবিকা নির্বাহের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জলপাইগুড়ির গনেশ চন্দ্র সরকার। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ট্রেনের যাত্রীদের দোতারা বাজিয়ে গান শুনিয়ে আসছেন তিনি।বৃদ্ধ ভাতা থেকে শুরু করে শিল্পী ভাতা, সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধাই পাননি বলে অভিযোগ প্রতিবন্ধী শিল্পী গনেশবাবুর। তবুও হতাশ না হয়ে, পেটের টানে প্রবীণ বয়সেও ট্রেনে চেপে যাত্রীদের মন জয় করছেন তিনি।

জলপাইগুড়ি জেলার মন্ডলঘাট এলাকার বাসিন্দা গনেশবাবু দৃষ্টিহীন। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের যাত্রীদের দোতারা বাজিয়ে গান শোনান। যাত্রীদের দেওয়া অর্থই তার আয়ের প্রধান উৎস।বাড়িতে মেয়ে ও ছেলে থাকলেও, তাদের আয়ে সংসার চলে না। তাই দীর্ঘ বছর ধরে এই বেদনাদায়ক পথে হাঁটতে হচ্ছে তাকে।শারীরিকভাবে অসুস্থ না থাকলে, নিয়মিত ট্রেন ধরে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন হয়ে কুচবিহার যান গনেশবাবু।তবে দুঃখের বিষয়, শিল্পী ভাতা পান না তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। নূন্যতম প্রতিবন্ধকতার ভাতা পান বটে, কিন্তু একশো দিনের কাজ পান না বলে অভিযোগ করেন তিনি।পেটের টানে জীবনযুদ্ধে নেমেছেন গনেশবাবু। শিল্পী ভাতা থেকে বঞ্চিত হলেও হার মানেননি তিনি। বয়স হলেও ইচ্ছে থাকলে জীবনযুদ্ধে সফলতা পাওয়া যায়, সেই সত্য প্রমাণ করেছেন তিনি।