ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যেতেই যেন চক্ষু চরক গাছ বৃদ্ধার! কিন্তু, হঠাৎ এই মহিলার ঘরে চার যুবক কি করছে? নিজের চোখেই দেখুন সেই দৃশ্য…….

সংকল্প দে ব্যান্ডেল :- এ যেন সিনেমার কোন ফিল্মি কায়দাকে ও হার মানাবে, কারণ আজ এই বৃদ্ধার সাথে ঘটেছে, কাল আপনার সাথে ঘটবে না এর কি গ্যারান্টি আছে?তবে, ঘুম থেকে উঠে এলাকার মানুষকে যে আজ এমন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে তা হয়তো এখনো দুঃস্বপ্নের মতন তাদের কাছে… কারণ, মহিলার অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ভোররাতে কি করতে এলো চারজন?দেখুন, সর্বহারা সেই বৃদ্ধার সাথে ঘটা ঘটনা……নলডাঙার বাসিন্দা রেনু পাল(৬৮)। তার দুই মেয়ে।

বড় মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ব্যান্ডেল ওলাইচন্ডীতলায়।ছোটো মেয়ে সোনালী সিন্ধে থাকেন মুম্বাইতে। দু মাস ছোটো মেয়ের বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধা।সেসময় বাড়ি বন্ধই ছিল।কিন্তু, এদিন ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যান ওই বৃদ্ধা। এবং বেরিয়ে দেখেন ঘরে বসে আছে চার যুবক।তাদের মাথায় স্পট লাইট লাগানো।বৃদ্ধাকে দুষ্কৃতিরা বলে চিৎকার করলে মেরে দেবে। তারপর হাত পা বেঁধে রেখে শরীর থেকে সোনার গহনা খুলে নেয়। এমনকি আলমারির চাবি নিয়ে পেনশানের ৩৫ হাজার টাকা তুলে রেখেছিলেন তা নিয়ে নেয়।এছাড়াও, ব্যাঙ্কের বই চেক বই জামা কাপড় ছড়িয়ে ফেলে।

একটা শাড়িও নিয়ে যায়।প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে এই কান্ড চলে।যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে,বৃদ্ধা বলেন,দুষ্কৃতিদের বয়স ২২-২৪ হবে।নেশা করেছিল প্রত্যেকেই।একজন তো ঘুমিয়েও পরেছিল।ডাকাতি করার ফাঁকে বৃদ্ধার স্বামী কি করত,কবে মারা গেছে,মেয়েরা কোথায় থাকে এসবও জেনে নেয় দুষ্কৃতিরা।বৃদ্ধার পাশেই থাকেন তার আত্মীয়রা।বৃদ্ধার জা মিতা পাল বলেন,আমরা পাশে থাকলেও কিছু টের পাইনি।ঘন বসতি এলাকায় এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।ব্যান্ডেল থেকে সংকল্পদের রিপোর্ট