কি এমন ঘটল যে, যার কারণে আজ বাঁকুড়ার এই কলেজ সংবাদ শিরোনামের শীর্ষে? দেখুন…

আব্দুল হাই বাঁকুড়া :- গোটা রাজ্যজুড়ে যখন চলছে কলেজ দুর্নীতি, ঠিক তার মাঝেই যেন বাঁকুড়ার এই কলেজ, সকলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সততায় কিভাবে তাদের মূল মন্ত্র….দেখুন, সাত বছরের পরিশ্রমের ফল তারা কিভাবে পেল…বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম গোটা রাজ্যের কাছে পৌঁছে গেছে এই যন্ত্র চালিত ঢেঁকির ধান ভাঙার আওয়াজে।

এ বিষয়ে উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিরেক্টর শশাঙ্ক দত্ত জানান যে , বাঁকুড়ার এক কোনায় তৈরি এই ঢেঁকির নাম গোটা ভারতবর্ষ এবং ভারতবর্ষের বাইরে পৌঁছে গেছে। মহারাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ থেকে ইচ্ছুক ক্রেতারা এসেছিলেন।যন্ত্রচালিত ঢেঁকিগুলির জন্য বড় মাপের অর্ডার আসছে। একটি ঢেঁকি বানাতে প্রয়োজন ছিল কাঠ।

যাতে গাছের কোন ক্ষতি না হয় সেই কারণে ভার্টিক্যাল ধাতব যন্ত্রচালিত ঢেঁকি তৈরি করেছে উন্নয়নী। সব মিলিয়ে পেটেন্ট পেয়ে যেন আরও উৎসাহিত হয়ে গেছে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন পুয়াবাগানে অবস্থিত উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। এসেছে সার্টিফিকেট এবং পেটেন্ট নাম্বার।

সময় লেগেছে সাত বছর। 2017 সালে আবেদন করা হয় পেটেন্টের জন্য।ঢেঁকির অর্ডার আসছে প্রচুর। মহারাষ্ট্র থেকে একজন চেয়েছেন ৩০০ টি ঢেঁকি। যেহেতু এই ঢেঁকি বানাতে প্রয়োজন কাঠের সেহেতু একটি ঢেঁকি বানানো একটি গাছ কাটার সমান।

প্রকৃতিকে রক্ষা করার কথা ভেবে ভার্টিক্যাল ঢেঁকি বানানোর কথা ভেবেছে এই কলেজ। এই নতুন মডেল এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। যার পুরোটাই লোহা এবং সামান্য একটুখানি প্রয়োজন কাঠের।

বাঁকুড়ার উন্নয়নী কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষামূলক চিন্তা ভাবনার দিকেই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন বলেই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। এবং সেই কারনেই এসেছে সফলতা।