একি সাত বছরের কোন খুদে নাকি আস্ত একখান কম্পিউটার? দেখুন, সামান্য পতাকা নিয়েই তার কিস্তিমাত…..

মলয় দে নদিয়া :- কি আমাদের কথাটা শুনে চমকে উঠছেন?ভাবছেন এই বয়সে, এমনটা কিভাবে সম্ভব?তবে কথাই বলেনা উপরওয়ালার দান, আর ঠিক তাই হয়তো এই বয়সে দাঁড়িয়েও, ঘটিয়ে চলেছে এমন মিরাক্কেল ঘটনা….যেখানে, হাতে গোনা কিছু পতাকা দেখে দেশের নাম বলতে আমরাও তোতলে যাই, সেখানে দেখুন নদীয়ার এই সাত বছরের শিশুটি কি ঘটাচ্ছে….দ্বিতীয় শ্রেণির এই পড়ুয়া ইতিমধ্যেই তার আশ্চর্য গুণ দিয়ে গড়েছে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। গিনেসে নাম তোলার প্রস্তুতি চলছে। কি এমন করল সে! যেখানে আমি আপনি এমনকি 50 টা দেশের নাম বলতে পারি ভূগোলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও মেরে কেটে একশো দেশের নাম বলতে পারেন সেখানে প্রকৃতিপতাকা দেখেই ১৯৫টি দেশের নাম বলতে পারে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই।


বিশ্বের দ্রুততম খুদে হিসেবে পৃথিবীর সমস্ত দেশের নাম অনর্গল বলতে পারায় প্রকৃতি জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।ছোট্ট এই পড়ুয়াকে নিয়ে গর্বিত তার পরিবার।ছোট্ট এই প্রকৃতির বাবা শান্তিপুরের গোবিন্দপুর পাঁচপোতা এলাকার বাসিন্দা ডাঃ কৃষ্ণপদ বৈরাগী। হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে জলপাইগুড়িতে থাকেন তিনি। মা ডাঃ স্বপ্না সরকার পূর্ব বর্ধমানে স্কুল হেলথ মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

মেয়ের আশ্চর্য প্রতিভার কথা তাঁরা জানতে পারেন যখন বছর দুয়েক আগে প্রকৃতিকে নিয়ে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তামিলনাডু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারে ঘুরতে গিয়ে সেখানে প্রদর্শিত বিভিন্ন দেশের টাইম জোনের নীচে আঁকা জাতীয় পতাকাগুলো দেখে বেশ কিছু ভুল ধরে ফেলে ওই খুদে পড়ুয়া। প্রকৃতির পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দেখে কার্যত অবাক বনে গিয়েছিলেন সায়েন্স সেন্টারের কর্মকর্তারাও ।আর এখন পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের নাম জাতীয় পতাকা দেখেই অনর্গল বলে দিতে পারে সে। এর জন্য প্রকৃতির সময় লাগে মাত্র এক মিনিট।