১৪,৭৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, ব্রাজিল থেকে কার ভালোবাসার টানে ছুটে এলো এই বিদেশী তরুণী? দেখুন, নদীয়ার সেই আজব ঘটনা…..

মলয় দে নদিয়া :- প্রেমের ও জোয়ারে, ভাসাবো দোহারে, বাধন খুলে দাও, দাও দাও দাও…..হ্যাঁ, একেই বলে ভালবাসার টান, যে্টান একদিন স্বর্গ মর্ত্য পাতাল কেউ এক করে ফেলে…তবে, ১৪৭৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, সুদূর ব্রাজিল থেকে তার নদীয়ায় আগমন, যা সত্যিই আশ্চর্যের…কারণ, দেশীর সাথে বিদেশীর মিলন ঘটাতেই, দেখুন, সেই তরুণীর কান্ড খোদ নদীয়ার বুকে……ভালোবাসা বা প্রেমের টানে সাত সমুদ্র পারি দেবার কথা তো অনেকেই শুনে থাকি! কিন্তু স্ব-চক্ষে তার সাক্ষী কি কেও থেকেছে?তবে, এবার সুদুর ব্রজিল থেকে নবদ্বীপে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হাজির ব্রাজিলের প্রেমিকা!!কি ভাবছেন এও আবার হয় নাকি?হ্যা এমনটাই ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা এলাকার মন্ডল পরিবারে।

নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কার্ত্তিক মনৃডল, পিতা দিলীপ মন্ডল, কাত্তিক বাবু কর্মসূত্রে সুরাটে থাকেন, আর সেখানে থাকতেই চার বছর আগে সমাজ মাধ্যমে পরিচয় হয় সুদুর ব্রাজিলের বাসিন্দা ‘ম্যানুয়েলা আলভেস দা সিলভা’ এর সাথে পরিচয় ধীরে ধীরে ভালোবাসার রূপ নেয় ও পরবর্তী সময়ে দুজনেই বিয়ের জন্য রাজী হয়।

কাত্তিক মন্ডল জানান এর পর প্রেমিকা এখানে আসে ও আমাদের বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়, আগামী শুক্রবার হবে বিয়ে।আর সবটাই হবে সনাতনী তথা বাঙালি মতেই, ইতিমধ্যে বাড়িতে শুরু হয়েছে বিয়ের প্যান্ডেল সহ সমস্ত রকমের তোরজোর, এলাকার ছেলের বউ হবে বিদেশীনি, সে কারনে প্রতিবেশীদেরও উৎসাহ ও কৌতুহল যথেষ্ট।

কিন্তু পাত্রী তো ব্রাজিলের, সে খেত্র ভাষার তারতম্য আছে কথোপকথন চলছে কিভাবে? প্রশ্নের উত্তরের মন্ডল পরিবারের সদস্যরা জানান বর্তমানের আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই চলছে, অর্থাৎ সবটাই চলছে মোবাইলের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে।