হ্যাঁ এ এমনই একটি গ্রাম, যে গ্রামে একবার কেউ আসলে, তার আর ফেরার জো নেই! কিন্তু, কেন…

সানি রয় ডুয়ার্স :- হ্যাঁ যা শুনছেন তা একেবারেই সঠিক ঘটনা…কারণ এখন আর আপনাকে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও, যেতে হবে না দূর দূরান্তের কোন জায়গায়…কারণ এই বাংলার বুকেই রয়েছে, এমন এক গ্রাম, যে গ্রামে আজ আমাদের মাধ্যমে, একবার প্রবেশ করে দেখুন…নতুন বটবৃক্ষের মতো শান্তির আস্তানা , বুড়িখোলা গ্রাম আর এই গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে ঘেরা রয়েছে পাহাড় জঙ্গল এবং বয়ে যাওয়া বুড়িখোলা নদী। সকাল এবং সন্ধ্যেবেলায় ময়ূরের ডাক পাশাপাশি সন্ধ্যা হতেই বিভিন্ন প্রকারের ঝিঁঝিপোকার আওয়াজ ।রয়েছে বন্যপ্রাণী হাতি , হরিণ সহ বিভিন্ন প্রাণীর ডাক । মাঝে মাঝে কান পাতলে শোনা যায় দুই দাঁতালির লড়াইয়ে হাতির দাঁতের সাথে দাঁতের সংঘর্ষের শব্দ ।

মালবাজার থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার পেরিয়ে এলেই , এই গ্রামটি চোখে পড়বে ।আসার সময় সুনগাছি চা বাগানের সবুজ গালিচা সহ চা পাতা তৈরির গন্ধ এবং পাশাপাশি জঙ্গলে প্রবেশ করার সাথে সাথে বন্যপ্রাণীর উঁকি ঝুঁকি মারা এক অদ্ভুত অনুভূতি ।কারণ পাশেই রয়েছে শাখাম জঙ্গল । যেটি হল হাতির আঁতুঘর ।এই আতুর ঘরেই নতুন সন্তানের জন্ম দেয় এই বিশাল প্রাণী । তারপর মা তার সন্তানকে দু’বছর সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিক্রমা করিয়ে পথ চলার করিডর কে চিনিয়ে দেয় মা তার শিশুকে ।যাক বন্যপ্রাণীর বিষয়টি তো গেল কিন্তু প্রকৃতির সেরা প্রাণী মানুষ lআর এই ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঘুরার নতুন জায়গা মানচিত্রে এলে সর্বদাই খুশি থাকে পর্যটকরা ।

তাই বিরাট শাল গাছের তলায় এই হোমস্টে নাম হল বুড়িখোলা homestay ।রাতের অন্ধকারে এই অঞ্চলটি একেবারেই বন্যপ্রাণীর স্বর্গরাজ্য । প্রত্যন্ত ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এই গ্রাম । আর এই গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ভুট্টা বাড়ি জঙ্গল । দুটোই জঙ্গল সুরক্ষিত এবং বন্যপ্রাণের জন্য এক স্বর্গরাজ্য ।সচরাচর স্থানীয় শহর এলাকার মানুষ এই এলাকায় আসতে সাহস যোগাতে হয় ।আর এই জঙ্গলের মাঝখানে গড়ে তুলেছে পর্যটকদের জন্য এক নতুন আস্তানা ।অবশ্যই প্রকৃতিকে সাথে রেখে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে । রয়েছে ঘন শালবন , শিশুদের জন্য দোলনা , তরুণ তরুণীদের জন্য সেলফি পয়েন্ট এবং যারা নদীতে স্নান করতে ভয় পান , তাদের জন্য রয়েছে ছোট্ট একটি বাথ টব।সবমিলিয়ে এক সুন্দর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সাক্ষী হতে হলে চলে আসুন বুড়ি খোলা গ্রামে ।