বিশ্বজিৎ নাথ খরদা :- ফুলের মতন মিষ্টি একটি তরতাজা প্রাণ অর্থাৎ বছর তেইশের গৃহবধূ রিমার শেষ পর্যন্ত যে এমন পরিণতি হবে, তা হয়তো সত্যিই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা….কারণ, শশুর ঘরের এমন ভালোবাসার প্রতিদান আর সইতে না পেরে, দেখুন শেষমেষ নিজের ঘরেই এই গৃহবধূ কিভাবে ডেকে আনলো এক চরম পরিণতি……যদিও এমন ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো রহড়া থানার বন্দীপুর পঞ্চায়েতের ডাঙাদিঘিলার আদিবাসী পাড়ায়। নাম রিমা বিবি (২৩)।
জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে বন্দীপুর পঞ্চায়েতের বলাগড়ের বাসিন্দা রিমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ডাঙাদিঘিলার বাসিন্দা পেশায় ভ্যান চালক শেখ সালাউদ্দিনের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে রিমার ওপর জোরজবস্তি করতো স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তবে, এদিন সকালে নিজের ঘর থেকে পুলিশ রিমাকে এমন অবস্থায় মেলাতে, যেন রহস্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।তবে, রিমার দাদা ইব্রাহিম মন্ডলের অভিযোগ, এদিন সকালে বোনের পাশের বাড়ি ফোন আসে। ফোনে বলা হয় বোন অসুস্থ বন্দীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে। হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁর বোনের এই হাল। তাঁর দাবি, বিয়ের শ্বশুরবাড়ির আবদার অনুযায়ী সমস্ত জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল।
তা সত্ত্বেও ওরা বোনের ওপর অত্যাচার করতো। অভিযোগ, বোনকে ওরা মারধোর করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।যদিও, বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামীকে আটক করেছে। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক।
