রাতের অন্ধকারে কৃষকের জমির মাটি কিভাবে হল উধাও? দেখুন, তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার নদীয়ার বুকে এ কি কান্ড……

মলয় দে নদীয়া :- সে চুরি হোক বা কোন মানুষকে প্রাণে মেরে ফেলা, সবকিছু থেকেই এখন নিস্তার মেলে মাত্র কিছু টাকার বিনিময়ে…তবে এ নদীয়ার মাটিতে এই ঘটনা যেন সত্যিই অপ্রত্যাশিত। কারণ, যে কৃষকের জমি আগেও ছিল ঠিকঠাক, কিন্তু রাতের অন্ধকারেই যেন সেই জমির মাটিকেই একেবারে উধাও করে দেওয়া হল….যদিও ঘটনাটি, নদীয়ার শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গা সংলগ্ন বহু কৃষকের জমি ভাঙ্গনে চলে গেছে নদীগর্ভে, অন্যদিকে জেলা পরিষদ এবং সরকারি সেচ দপ্তরের তহবিলে গঙ্গা বাঁধনোয় তৎপর হয়েছেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ড : ব্রজ কিশোর গোস্বামী। কিন্তু পার্শ্ববর্তী আয়েশা ভাটার মালিক তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতৃত্ব এবং শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মন্ডলের সেই সব কৃষকের জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেয় এমনই অভিযোগ গয়েশপুর এলাকাবাসীর।তবে, গতকাল রাত্রে কেউ বা কারা এসে, এই কাণ্ড ঘটাচ্ছিলেন।

আর সেই দেখেই, এলাকাবাসীরা প্রথমে শান্তিপুর থানায় ফোন করে জানায় একটি পুলিশ গাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর বন্ধ থাকে মাটিকাটা। এরপর পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবারো মাটি কাটা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূলের বুথ সভাপতি ফুলেশ্বর ধারা গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল মন্ডল সেখানে উপস্থিত হলে, ভাটার কয়েকজন কর্মী ড্রাইভার এবং অলি হোসেন মন্ডল নামে ভাঁটা মালিকের ভাই তাদের স্কুটি মোটরসাইকেল ভেঙে দেয় তাদেরকেও বেধরক মারধরও করা হয়।পরবর্তীতে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে শান্তি পুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং শান্তিপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ কর অবিলম্বে এই অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।