মলয় দে নদীয়া :- একেই বলে ভাগ্যবিধাতার খেলা..না হলে, তার মাকে নিয়ে সে যাচ্ছিল ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে, কিন্তু ট্রেনে ওঠায় যে তাদের জীবনের কাল হয়ে যাবে, তা সত্যিই যেন নদীয়ার এই মা ছেলের কপালে এক দুর্ভাগ্য..দেখুন, ট্রেনে পা
দিতেই কিভাবে তারা নদীয়ার বাড়িতে বেঁচে ফিরলো…এদিন সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে বোম্বে মেলে চেপে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন পেশায় ইলেকট্রিক গাড়িচালক উৎপল বাবু। দুর্ঘটনার জেরে উৎপল বাবুর বৃদ্ধা মা জখম হন। এ প্রসঙ্গে আতঙ্কিত উৎপল সরকার জানান, সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশন থেকে বৃদ্ধ মাকে সাথে নিয়ে বোম্বের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের চন্দ্রধরপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের ১৮ টি বগি। ভোররাতে সকলেই ঘুমিয়ে থাকার কারণে সেভাবে কিছু অনুভব করতে না পারলেও বগিটি তীব্র ঝাকুনি দিয়ে পাল্টি হয়ে যায়। সিট থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে মুখ মন্ডলে আঘাত পেয়ে জখম আমার বৃদ্ধা মা। সামান্য আঘাত আমারও লাগে।
এরপর বাইরে বেরিয়ে এসে রেলের ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর বিশেষ ট্রেনে করে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হই। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দুজনের পাশাপাশি বহু যাত্রী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।তবে তারা যে এমন বরাত জোরে,রক্ষা পাবে, শুনুন তাদের মুখ থেকেই সেই অভিজ্ঞতার কথা…