‘ভণ্ডামি’, ‘কলকাতারই কেউ চেনে না..,’ দিল্লিতে মেট্রো চেপে সংসদে যেতেই ট্রোলড সায়নী

তৃণমূল প্রতিনিধি হয়ে এবার একঝাঁক নতুন মুখ প্রবেশ করল সংসদে। যার মধ্যে অন্যতম নাম যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী ঘোষ । প্রথম দিন সংসদে ঢোকার সময় একেবারে ঝাঁঝালো মুডে ছিলেন সায়নী। দিদির মতোই পরনে শাড়ি। নীল রঙা হ্যান্ডলুম শাড়ি পরে নজর কেড়েছিলে অভিনেত্রী কাম নেত্রী।চোখে ছিল সানগ্লাস। উঁচু করে বাধা খোপা ব্যাস।সাংসদ হয়ে গেলেও সায়নী আর পাঁচজন হেভিওয়েটের মতো নন। দামী গাড়িতে কমে সাংসদে যাওয়ার বদলে তার ভরসা দিল্লি মেট্রো। সংসদ অধিবেশনের পঞ্চম দিনে শাড়ি পরে মেট্রোয় করেই সংসদ ভবনে পৌঁছান সায়নী। তবে এতেও কটাক্ষের শিকার যাদপপুরের তৃণমূল সাংসদ।মেট্রো চেপে সায়নীর সংসদে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হৈচৈ। মেট্রোয় চেপে ছবি তোলার জন্য ট্রোলড হলেন নবনির্বাচিত সাংসদ। নেটমাধ্যমে একজন নেটিজেন লেখেন, ‘ভেবেছিল বাংলার মতো ওখানেও ওকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই ভেবে মেট্রো তে চড়েছিল। কিন্তু ওখানে কেউ ওকে বসতেই দেয়নি।’অপর একজন কটাক্ষের সুরে লেখেন, ‘সব ভণ্ডামি।

এরা নিজেই ফটো তোলায় মিথ্যা পাবলিসিটির জন্য।’ আরেকজন কটাক্ষ করে লেখেন, ‘দেখবো কতদিন এইভাবে ট্রাভেল করে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘ওকে তো কলকাতারই কেউ চেনে না। দিল্লির মানুষ চিনবে কী করে?’প্রসঙ্গত, শোনা যায় তৃণমূলে যোগদানের আগে কিছুটা বাম মনোভাবাপন্ন ছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই এন্ট্রি নেন শাসক দলে। সেবার বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ আসনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন সায়নী। তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। হেরে যান তিনি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের কাছেতবে দলকে জয় দিতে না পারলেও তৃণমূল তাকে মোটেও হতাশ করেনি। যুব তৃণমূলের শীর্ষ পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। আর এবার কলকাতার অন্যতম গুপুত্বপূর্ণ অঞ্চল যাদবপুরের টিকিট পান লড়াকু সায়নী। আর তাতেই বিরাট জয়। তৃণমূলের এই যুবনেত্রী সর্বদাই ঝাঁঝালো। বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ সাথে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে বড়সড় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে এবার সংসদ কাঁপাবেন এই তৃণমূল নেত্রী।