বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, আর তার মাঝেই ঘরের মধ্যে থেকে কে করল ফোঁসফোঁস শব্দ? দেখুন, ঘুমের মধ্যেই এ-কার দর্শন…..

সানি রয় ধুপগুড়ি :- একের রামের লক্ষ্যে নেই তারপর আবার লক্ষণ-দোসর..তবে এই কথার আসল মানেটা হচ্ছে, অন্ধকারাচ্ছন্ন দুর্যোগপূর্ণ রাত আর তার মাঝেই ঘরে ঘাটটি মেরে রয়েছে, বিশালাকার এটা কি?দেখুন, গঙ্গানির শব্দে কিভাবে, ঘুম উড়ল বাড়ির লোকের…তখন ঘড়িতে রাত বেলা সাড়ে এগারোটা। চারিদিক অন্ধকার তার উপর মুষলধারে বৃষ্টি সঙ্গে বিদ্যুতের চমকানি। পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার ধুম। এদিকে বাড়ির গৃহিণী ঘরের মূল দরজা বন্ধ করবে মাত্র, আচমকাই চক্ষু চরক গাছ। কেমন যেন একটা গঙ্গানির শব্দ, একটু সামনে যেতেই পরিষ্কার হলো যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফনাতুলে লম্বা এক সাপ। তারপর যা হলো, গোটা পরিবারে আতঙ্কের মহল।

এরপর খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। তবে পরিবারের অভিযোগ সহযোগিতা মেলেনি বনদপ্তরের তরফে। এদিকে বৃষ্টি বাদলের দিনে বাড়ির ঘরের মধ্যে সাপ ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রত্যেকে। এরপর কোন ফুল কিনারা না পেয়ে এই গভীর রাতেই তারা ফোন দেন একটি বৈদ্যুতিক মাধ্যমের সাংবাদিক রনি চৌধুরীকে। যিনি ডুয়ার্স এর বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে সাপ উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন। এদিনও তার কোন তফাৎ হয়নি। ফোন পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ছুটে যায় সেই বাড়িতে। এরপর সেই সাপটিকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেয় রনি চৌধুরী। ঘটনাটি ধুপগুড়ি মহকুমার স্টেশন শালবাড়ি হাবিলের দাঙ্গা এলাকার।