ফাঁস হয়ে গেল সমস্ত জারিজুড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপানো মঙ্গলা মা ভগবানের নাম করে, এ কেমন ভণ্ডামি করছিলেন? দেখুন, সেই দৃশ্য…..

সংকল্প দে বর্ধমান :- যার অলৌকিক ক্ষমতা দেখে, একদিন শয়ে শয়ে মানুষ ছুটে এসেছিলো, তাদের জীবনের হাজারো সমস্যা দূর করতে….আর সেই সুবর্ণ সুযোগকে হাতিয়ার করেই, তিনি হয়ে উঠেছিলেন বর্তমান সমাজের মঙ্গলা কালী….কিন্তু ওই যে কোথায় আছে না, লোভে পাপ আর পাপী মৃত্যু, আর সেই কারণেই facebook youtube ছয়লাভ করা, অতি জনপ্রিয় মঙ্গলা কালী মা অর্থাৎ কৃষ্ণ কালীর সব জারিজুড়ি হয়ে গেল ফাঁস….দেখুন, শেষ পর্যন্ত কি ঘটলো…..পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ৫নম্বর ইছলাবাদের কিরণ সংঘ এলাকার।

অভিযোগ এলাকারই এক মহিলা তিনি কৃষ্ণ কালীর সাধক নামে পরিচিতি দিতেন। কৃষ্ণ কালীর উপাসনার নামে বিভিন্ন উপায়ে বহু টাকা উপার্জন করতেন। বহুদূরান্ত থেকে আসতেন সাধারণ মানুষজন। তার নাকি আছে একটা ইউটিউব চ্যানেলও। অভিযুক্ত সাধিকার নাম মঙ্গলা কোৱা। অভিযুক্ত সাধীকার ভন্ডামি অবশেষে সামনে আনলো স্থানীয় এলাকার মানুষজন। ভন্ডামি হাতেনাতে ধরতেই উত্তেজিত হয়ে জনতা মন্দির থেকে ছুড়ে ফেলে মন্দিরে থাকা দান সামগ্ৰী কাপড় গামছা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বর্ধমান থানার পুলিশ।

অভিযুক্তকে আটক করে বর্ধমান থানার পুলিশ।তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, যিনি নিজেকে কৃষ্ণ কালীর সাধিকা বলছেন, তিনি নিজে কোন একটি চিট ফান্ড সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে সেই সংস্থা থেকে তাড়িয়ে দিলে অভিযুক্ত মঙ্গলা কোৱা দেবতার নামে ভন্ডামি শুরু করেন। অভিযুক্ত মহিলার স্বামী একজন ফুচকা বিক্রেতা বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, ওই মহিলা বলতেন শ্রী রামকৃষ্ণ নাকি মাকে পাননি, তিনি কৃষ্ণ কালীকে পেয়েছেন। চিটিং বাজি করে বহু মানুষকে প্রতারণা করে বহু জমি জায়গার মালিকও হয়েছেন অভিযুক্ত কালি সাধিকা।অবশেষে ফাস হলো কালী সাধিকার ভন্ড গিরি, অভিযুক্ত মঙ্গলা কোরার চিটিং কীর্তি।