নেশা করে চুরি করতে এসে, চোর বাবা জীবনের এ কেমন কান্ড নদীয়ার মাটিতে? দেখুন……

মলয় দে নদীয়া :- হায়রে চোর, তুমি নিজেই দিলে সকলকে ধরা…হয়তো, চুরি করার ট্রেনিং টা ঠিক মতো হয়নি না হলে, চুরি করতে এসে কোন চোর আবার রেখে যায় প্রমাণ?হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, নদীয়ার বুকে এমনই এক ঘটনায়, শোরগোল পড়ে গেল সর্বত্রই ….কারণ, চুরি থেকেও চোরের এমন কাণ্ডে, তাজ্জব হয়ে গেল সকলে…..তবে, ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত হরিপুর মনসাতলা এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর বাড়ির ছেলে গণেশ দেবনাথ কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। স্বামী না থাকলেও দুই সন্তানকে নিয়ে গতকাল জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে পাশের পাড়া মেলের মাঠে বাপের গিয়েছিল বৌমা শর্মিলা দেবনাথ। শাশুড়ি দুলালী দেবনাথ ছিলেন পাশের ঘরে। রাত আনুমানিক ২ তো নাগাদ চোর আসে বাড়িতে তালা দেওয়া ঘরের তালা ভেঙে আলমারিতে রাখা ৩ গ্রাম সোনার গহনা এবং চার ভরি রুপো এবং নগত ৩হাজার ৪০ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় চোর।


যদিও গণেশ বাবুর মা দুলালী দেবী বিষয় টি দেখে ফেলেন। পরে চিৎকার চাঁচামেচি শুরু করলে চম্পট দেয় চোর। ফেলে রেখে যায় তাদের দু জোড়া চটি সাইকেল এবং সাইকেলের রাখা একটি লাইলনের ব্যাগ যার মধ্যে গ্যাজার কল্কে তালা ভাঙ্গার বেশকিছু উপকরণ এবং একটি গামছা।এলাবাসী ছুটে আসে এবং খবর দেওয়া হয় গণেশ বাবুর স্ত্রীকে। তিনিও পার্শ্ববর্তী পাড়ার বাপের বাড়ি থেকে রাতেই শশুর বাড়িতে আসেন খবর পেয়ে। তবে গণেশ বাবুর স্ত্রীর অভযোগ জানা শোনার মধ্যেই কেও এই ঘটনার সাথে যুক্ত। তবে তারা অত্যন্ত অভাবী পরিবার এই ঘটনায় রীতিমতো দিশেহারা তারা।কিন্তু এখন, সাইকেল জুতো এবং গাজার ছিলিমের প্রমাণ নিয়ে আদৌ কি ধরা পড়বে চোর? এখন এইটাই দেখার…