দু-মাস ধরে নিখোঁজ নদীয়ার এই গৃহবধূর, এ কোন ছবি দেখতে পেল হোয়াটসঅ্যাপে তার পরিবার? দেখুন, লোভের পরিণাম আজ কতটা ভয়াবহ…..

মলয় দে নদিয়া :- একদিন বা দুদিন নয়, আজ দু মাস হল বাড়ির হাসিখুশি মিষ্টি বউটি হঠাৎই নিখোঁজ…কেও তো ভেবেছিল গোপনে সম্পর্ক, কিন্তু পরিবার যে শেষমেষ গৃহবধুর এই পরিণতির সাক্ষী হবে, তা হয়তো এখনো দুঃস্বপ্নের মতন…কিন্তু দুমাস পর হঠাৎ স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপে গৃহবধূর এ কিসের ছবি পাঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দেওয়া হল? দেখুন নদীয়ার বুকে আশ্চর্যজনক ঘটনা…..লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি নদীয়া শান্তিপুর থানার অন্তর্গত হরিপুরস্ট্রীট বিশ্বশুখ পল্লী এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর মে মাসের ২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক দশটা নাগাদ বাপের বাড়ি থেকে গৃহবধূ মাম্পি বিশ্বাস বের হন ব্যাংকে যাওয়ার নাম করে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে, ব্যাংকের পাস বই ভোটার কার্ড জাতিগত শংসাপত্র ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য নিয়ে যান সঙ্গে করে।

তবে জামা কাপড় কিংবা অন্য কিছু নিয়ে যায়নি ,এরপর দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও বাড়ি না এলে পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর নিতে থাকেন ওই গৃহবধুর। শশুর বাড়ি শান্তিপুর থানা দূরত্বে লেবুতলা পাড়ায় জামাই এর সাথে মেয়ের কিংবা বাপের বাড়ির পরিবারের সম্পর্ক খুবই ভালো, দুই পরিবার মিলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও ওই গৃহবধুর কোনো সন্ধান না পাওয়া গেলে তারা শান্তিপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই গৃহবধূর নামে।তবে, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কোনরকম মনোমালিন্য নেই তার। সুখেই সংসার করছিল তাদের মেয়ে। তবে হঠাৎ করে কি এমন ঘটলো তা নিয়েই হতবাক পরিবারের সকলেই।কিন্তু, নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পরেই তাদের ফোনে অচেনা একটি নম্বর থেকে ওই গৃহবধূর বেশ কয়েকটি ছবি আসে। তবে সেই ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিলিট হয়ে যায়। এরপরই তারা ওই নম্বরটির সন্ধান নিতে গেলে জানতে পারেন নম্বরটি আসলে বাংলাদেশের। এমনকি তারা জানান এরপর অন্য আরেকটি নম্বর থেকে কোন আসে তাদের ফোনে।

এরপর নিখোঁজ হওয়া ওই গৃহবধুর মা তার পুত্রবধূকে দিয়ে সুকৌশলে সেই ফোন নম্বরে ভিডিও কল করে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির বেশ কিছু তথ্য যোগাড় করে। যদিও ওই ব্যক্তি দাবি করেন তার বাড়ি পুনা তে, ওই গৃহবধুর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিলো তবে বর্তমানে ওই গৃহবধূ তার কাছে নেই।অভিযোগ, মোবাইলের জন্যই এ সর্বনাশ হয়েছে। সম্ভবত গৃহবধূকে কোনো কারণে ভিডিও কল করে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হতো তার মেয়ের কিংবা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই ব্যক্তি তাদের মেয়েকে সুকৌশলে বাড়ি থেকে বের করে এরপর অপহরণ করে রেখেছে। তবে,প্রায় দুমাস ধরে নিজেদের মেয়েকে ফিরে না পেয়ে চিন্তায় উদ্বিগ্ন রয়েছে পরিবার। আদৌ তাদের মেয়ে বেশি রয়েছে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে পরিবার, তাদের দাবি দু দুটো মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে সম্ভব হতে পারে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার। শুধু তাই নয় মেয়ের মোবাইল সুইচ অফ থাকলেও তা রয়েছে মেয়ের কাছেই ,পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হলে হয়তো তাদের মেয়েকে তারা ফিরে পাবেন।