দুরারোগ্য ব্যাধি ও মৃত্যু থেকে, আজও এলাকার এই জাগ্রত মা কালী কিভাবে রক্ষা করে চলেছেন সকলকে? দেখুন….

আব্দুল হাই বাঁকুড়া :- বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর…তবে কোন ওষুধ-বিসুধ নয়, বরং মা কালীর আশীর্বাদেই আজও এই এলাকার বুকে ঘটে চলেছে এমনই সব মিরাক্কেল ঘটনা…যখন এই সমাজ আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে, ঠিক তখন এলাকার বুকে এই জাগ্রত মা কালী আজও দেখিয়ে চলেছেন তার অলৌকিক ক্ষমতা..কিন্তু এখানে গেলেই কিভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে, মানুষের একের পর এক সমস্যা? জানুন বিস্তারিত….আনুমানিক প্রায় একশ বছর আগে এলাকায় মহামারীর আকার ধারণ করে এবং সেই মহামারীরতে মৃত্যু মিছিল হয়েছিল শুরু হয়েছিল বলে ই জানা যায় এলাকাবাসীর এবং বারোটির সম্পাদকের থেকে আর সেই সময় এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ এলাকাবাসীদের মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে শুরু করেন মা রক্ষাকালীর পূজো।

শোনা যায় মা রক্ষা কালীর পুজো হবার পর থেকেই অদ্ভুতভাবে মহামারির মৃত্যু মিছিল থেকে রক্ষা পায় বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের মানুষজন এবং তারপর থেকেই প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনক্ষণে শুদ্ধাচারে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই পূজো হয়ে আসছে মা রক্ষাকালীর।সময়ের তালে তাল মিলিয়ে সব ধরনের অনুষ্ঠানেই কিছু পরিবর্তন আসে তেমনি মা রক্ষারকালী পূজোতেও এসেছে কিছু চমক, যেমন যাত্রাভিনয় এবং অন্যান্য বিচিত্র অনুষ্ঠান।

মা রক্ষাকালীর পুজোকে ঘিরে এলাকার পাশাপাশি দূর দূরান্তের শত শত মানুষ ভিড় জমান পূজোর মন্ডপে। ৮ থেকে ৮০ সবাই মেতে উঠে পূজোর আনন্দে এমনকি দূরদূরান্তে যারা চাকরি করে তারাও মা রক্ষাকালীর পুজো উপলক্ষে ফিরে আসে নিজে নিজে বাড়িতে।পাহাড়পুর এলাকায় বাড়ি কুশুমিতা দে বর্তমানে বাস আমেরিকায় তিনিও মায়ের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন পূজো উপলক্ষে।চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী মা রক্ষাকালীর পুজো করেন হাসল দীঘির ব্রাহ্মণ যা আজও হচ্ছে।