দিনে দুপুরে ব্যাংক ডাকাতি, থুড়ি ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে বাইকে করে নিয়ে এসে দেখুন শেষমেষ কি ঘটনা হলো……

মলয় দে নদিয়া :- সত্যিই, নদীয়া যেন এখন, এইসব ঘটনার স্বর্গরাজ্য কারণ, এই জালিয়াতি এখন যে কোন সিনেমা কেউ হার মানাবে…তবে, শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব লুটে নেওয়ার জন্য, এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধর সাথে যা কান্ড ঘটানো হলো, তাতে করে এক্ষুনি এই ভিডিওর মধ্যে দিয়ে আপনারাও হয়ে যান সাবধান ….নইলে, যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্ত আপনার সাথেও ঘটে যেতে পারে এই ঘটনা…শান্তিপুর থানার অন্তর্গত শান্তিপুর পৌরসভার কে সি দাস রোডের গোভাগার এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছরের জীবন কুমার মজুমদারের অভিযোগ শান্তিপুর নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা সেলিম মালিতা নামে এক যুবক গোপাল বাবুর বাড়ি কেনার জন্য বেশ কিছুদিন তার বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়ির দাম বাবদ ৪৭ লক্ষ টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে জীবন বাবু রাজি হলে তার টাকা জীবনবাবুর ব্যাংক একাউন্টে দেওয়ার নাম করে শান্তিপুর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে নিয়ে জান যেখানে জীবন বাবুর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। যেহুতু জীবন বাবুর ব্যাংকে একাউন্টে চেক ফেসিলিতির ব্যবস্থা ছিল না তাই গত ১০ মে জীবনবাবুকে সেলিম মালিতা নামে ওই যুবক তার মোটরসাইকেল এ বসিয়ে ব্যাংকে নিয়ে জান।

পরবর্তীতে জীবন বাবুর সমস্ত ডকুমেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারী যার নাম সমীর দাস তার কাছে সেলিম সমস্ত কিছু তুলে দেয় এবং ওই ব্যক্তি সেলিমকে একটি চিরকুট দেয় পরে জীবন বাবু এবং সেলিম মালিতা জীবনবাবুর বাড়িতে চলে আসন। এরপর জীবনবাবুর মোবাইল নিয়ে সেলিম মালিতা ঘাঁটাঘাঁটি করেন পরে চলে জান। পরবর্তীতে জীবন বাবু ১৫ মে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে দেখেন তার একাউন্টে ১২২টাকা ৮২ পয়সা পরে রয়েছে।

এরপর ব্যাংকে জানালে তাকে কোনোরকম সাহায্য করা হয়না। তবে জীবন বাবু জানান তার ব্যাংক একাউন্টে ২ লক্ষ্য ২৬ হাজার ১২২ টাকা ছিল।এরপর তিনি স্টেটমেন্ট তুলে জানতে পারেন ওই সেলিম মালিতা তার একাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা তুলে নিজের একাউন্টে নিয়ে নিয়েছে।তবে, জীবন বাবুর দাবি ওই দুই অভিযুক্ত তাকে ঠকিয়ে তার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে সর্বশান্ত করেছে। তাই ওই দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তি হোক বলে তিনি প্রশাসনের কাছে মিনতি করেছেন। যদিও ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক।

নদিয়া থেকে মলয়দের রিপোর্ট