তোমায় গরুর মাংস রান্না করে খাওয়াব.নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর’

আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘রাঁধুনী-এপার ওপারের রান্না’র শোয়ের ভিডিয়ো। বাংলাদেশের রান্নার শোয়ে গিয়ে গোরুর মাংস রান্না শিখে বিপাকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।’সোশ্যালে’ তাঁকে নিয়েই আলোচনা চলছে। তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকি ‘জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা’র হুমকিও শুনতে হচ্ছে তাঁকে।ট্রোল থেকে বাদ পড়েননি তাঁর ৫ বছরের ছেলে ও পরলোকগত মা। বিতর্কের মুখে পড়ে গো-মাংস রান্না নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন সুদীপা। আর এবার অবশেষে এই ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।সুদীপার কথায়, ‘অন্যের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ার অধিকার আমার নেই।

যেখানে আমি একটা অন্যদেশে দাঁড়িয়ে রয়েছি। সেখানে তাঁদের জাতীয় খাবারের মধ্যে পড়ে গোরুর মাংস। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি বলতে পারি না যে তারিণ তুমি এটা রান্না কোরো না। কারোর ধর্মীয় আচরণে বাধা দেওয়ার অধিকার অন্য কোনও ধর্মের মানুষের আছে বলে আমার তো জানা নেই। আমরা ছোটবেলা থেকে এই শিক্ষায় বড় হয়েছি যে, আমরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।’ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় উঠে এসেছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো। ঠিক কী বলেছেন তিনি?সনাতন টিভি-র তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে সুদীপা বলেন, ‘এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে, নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর।

তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আশাকরি আগামী দিনে এটা আমি মনে রেখে, মাথায় রেখে চলব। এধরনের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’সুদীপা আরও বলেন, ‘এবার গণ্ডোগোলটা হল কোথায়? তারিন জাহান অনুষ্ঠানটি শুরু করতে গিয়ে (যে ভিডিয়ো ক্লিপটি আপনারা দেখছেন) সেখানে ভুলবশত বলে ফেলেন, যেটা হয়না ক্যাজুয়ালি বলে ফেলা, যে সুদীপা আজকে তোমায় আমি গোরুর মাংস রান্না করে খাওয়াব। অ্যাকচুয়ালি তারিণ আর আমি খুব বন্ধু।

খুব সুন্দর আড্ডা দিচ্ছিলাম, বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তখন ও একজন বন্ধুকে ওয়েলকাম করতে গিয়ে কথাটা বলে ফেলছে, কিন্তু বলেই ও সঙ্গে সঙ্গে কারেক্ট করে বলেছে, আমি আজকে আপনাদের সবার জন্য গোরুর মাংসের কোফতা রান্না করব। এটা হয়ত কোনওভাবে এডিটরের ভুল হবে, এইরকম ভুল আমরা প্রায়ই বলি। যেকেউ অ্যাঙ্কররা বলে, পরে সেটা এডিটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা তারিণ জাহান ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন তা কিন্তু আমি মনে করি না অন্তত। কেউ এটা করে না। আর আমি তো সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ আমি জানি, এই অংশটা বাদ যাবে এডিটে। (একটু থমকে দাঁড়িয়ে!) সেটা কোনওকারণে বাই মিসটেক সেটা হয়নি। তার দায় তো আমার উপর বর্তায় না না!’