তবে কি সুকান্ত শুভেন্দুর এমন প্ল্যানিং এর কারণেই রাজ্যে বিজেপির এমন বিপর্যয়? দেখুন, দিলীপ ঘোষের খোঁচা….

সংকল্প দে কলকাতা :- এটাই হয়তো বিজেপির ওভার কনফিডেন্সের ফলাফল। যেখানে তারা ভেবেছিল 400 পার, সেখানে এই রাজ্যে বারোটা সিট পেতে গিয়েও যেন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হল বিজেপিকে..তবে, এই ঘটনা এখন অতীত হয়ে গেলেও, সকালে ঘুম থেকে উঠেই যেন দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল, সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকার সেই কান্ড…তবে বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দিলিপ ঘোষের কথায়, পার্টি চলতে থাকে। লড়াই চলতে থাকে। নেতা পাল্টে যায়। এটা ঠিক আমরা ২০২১ পর্যন্ত এগিয়েছি। বহু কর্মী শহীদ হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা ১৮ সংসদ এবং ৭৭ বিধায়ক পেয়েছিলাম। ওখানেই আমাদের গ্রোথ আটকে গেছে। ভোটের শতাংশ একই আছে। আর গ্রোথ হয়নি। আমরা গত ৩ বছরে এগোতে পারিনি। ভাবতে হবে। এইখানে আমরা যে গতিতে এগোচ্ছিলাম সেটা সারা দেশে আলোচনার সাব্জেক্ট ছিল। সবাই অনেক আশা করেছিলাম। কিন্তু সব কর্মীরা নামেনি। গতি রুদ্ধ হয়ে গেলে কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবেন।এছাড়াও, কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ।

আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।তবে, আমি যেটুকু রাজনীতি বুঝি, দেশে বহুবার এরকম উত্থান পতন হয়েছে। রাজিব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিজেপি ২ টো সিট পেয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো লোককে খারাপ ভাবে হারতে হয়েছিল। বাজপেয়ী সরকার চলে যাওয়ার আগে মমতার মাত্র ৮ টা সিট ছিল। উনি বাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমার কর্মী যারা তাদের এই উত্থান পতন কে সঙ্গী করেই এগোতে হবে। ব্যক্তিগত রেষারেষির এবং ভুল পলিসির জন্য এইভাবে হাজার হাজার কর্মীর আত্মত্যাগ বিফলে চলে গেলে পরবর্তী কালে তাদের দলের কাজে লাগানো মুশকিল হয়ে যাবে। মানুষের পার্টির ওপর আস্থা চলে যাবে।বাকিটা শুনুন তার মুখ থেকেই..