টর্চ জেলে আসতে হচ্ছে হাসপাতালে! ৭২ ঘণ্টা ধরে কিভাবে আস্ত একটি হাসপাতাল হয়ে রয়েছে অন্ধকার? দেখুন, নদীয়ার সেই কান্ড….

অঞ্জন শকুল নদিয়া :- যেন ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ল, নদীয়ার এই হাসপাতালে….কি আমাদের কথাটা শুনে অবাক হচ্ছেন?ভাবছেন,ঘূর্ণিঝড় রেমাল তো সব জায়গাতেই তার প্রলয় নিত্য দেখিয়েছে, তাহলে কেন এমনটা বলা হচ্ছে?তবে দেখুন, বাহাত্তর ঘন্টা জুড়ে কিভাবে এই হাসপাতাল পড়ে রয়েছে আজ, অন্ধকারের দোটানায়…..হসপিটাল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সবসময় সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি তার ওপর সেই হসপিটাল যদি হয় সীমান্তবর্তী হসপিটাল যার ওপর সাধারণ মানুষ থেকে বিএসএফ কর্মীরা অব্দি সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল ।

তাহলে সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি থাকে এলাকায়। তেমনি একটি সীমান্তবর্তী হাসপাতাল হল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সীমান্ত এলাকায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল।যদিও এই হাসপাতালে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে জরুরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

সদ্যোজাতের জন্মানোর পর দেওয়া ভ্যাকসিন, ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের অসুস্থ রোগীদের গ্যাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । ফলে অসুস্থ রোগীকে এই হাসপাতাল থেকে দশ থেকে বারো কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে আসতে হচ্ছে । যা কিনা সীমান্তবর্তী এলাকায় রোগীদের রাতের বেলায় অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।