চিরে আর দই নিয়ে, ৫০৮ বছরের এ কেমন উৎসব এলাকায়? দেখুন…..

সংকল্প দে পানিহাটি :- কি ভাবছেন! শুধুমাত্র চিরে আর দই নিয়ে, এলাকায় এত বড় মেলা কিসের?তবে কি এই মেলাতে আসলেই আপনাকে খেতে হবে চিরে আর দই? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য অন্য কোন রহস্যজনক কারণ? দেখুন….পানিহাটির ঐতিহ্যবাহী দন্ড মহোৎসব তথা দই-চিঁড়ের মেলা এবার ৫০৮ বছরে পদার্পণ করল। পানিহাটির গঙ্গা তীরবর্তী মহোৎসবতলা ঘাটে এই উৎসবকে ঘিরে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দন্ড মহোৎসবে ভ্যাপসা গরমে ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে তিনজন পুন্যার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রশাসন। আগত ভক্তরা জানান, এবছর পুলিশ ও পুরসভার পক্ষ থেকে ভালো রকমের পরিষেবা মিলেছে। উৎসব প্রাঙ্গণে আসা ভক্তদের কোনওরকম অসুবিধাই হচ্ছে না।

কথিত আছে, হরিনাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মহাপ্রভু চৈতন্যদেব পানিহাটিতে পাঠিয়েছিলেন নিত্যানন্দ মহাপ্রভুকে। একদা হুগলী জেলার সপ্তগ্রামের রাজার পুত্র রঘুনাথ দাস গোস্বামী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুকে না জানিয়ে চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভের চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনা জানা মাত্রই বিরাগভাজন হন নিত্যানন্দ মহাপ্রভু।

শাস্তি হিসাবে রঘুনাথ দাস গোস্বামী নিত্যানন্দ মহাপ্রভু সমস্ত ভক্তদের দই-চিড়ে-কলা খাওয়ানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ সাদরে গ্রহণ করেন রঘুনাথ দাস গোষ্মামী। সেই থেকেই পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটে প্রত্যেক বছর জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ত্রয়োদশীতে পালিত হয়ে আসছে দন্ড মহোৎসব। শুধু পানিহাটিই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এদিন ভিড় জমান মহোৎসবতলা ঘাটে। উৎসবকে ঘিরে এখানে অগনিত ভক্তদের সমাগম ঘটে।