চাষীর নিথর দেহ নিয়ে, জাতীয় সড়ক আটকে নদীয়ার বুকে এ কেমন প্রতিবাদ?

মলয় দে নদীয়া :- হঠাৎই এক চাষীর আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক সকলেই / কিন্তু আজ তার এমন পরিণতির আসল কারণ কি?বোধ হয়, সেই উত্তরের আশায় আজ নদীয়ার বুকে জাতীয় সড়কে, যা ঘটে গেল তা সত্যিই যেন অত্যন্ত চাঞ্চলের….কিন্তু রাস্তা আটকে এ কেমন প্রতিবাদ?ঘটনাটি, শান্তিপুর গোবিন্দপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় এক চাষীর মৃত্যু ঘটনা ঘটার পরই এলাকাবাসী রাস্তায় ওই চাষীর দেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।

তাঁদের দাবি ছিল অবিলম্বে জাতীয় সড়কের আন্ডার পাশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার নয়, ট্রাফিক পুলিশ দিতে হবে রাস্তায় এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো এবং রাস্তার পাশের নয়ানজুলি বুজিয়ে দেওয়া। যদিও সকাল থেকে এই অবরোধ চলার পর পুলিশ তাঁদের অস্বস্ত করলেও আন্দোলনকারী এলাকাবাসিরা জেলাশাসকের উপস্থিতি এবং তাঁদের দাবির বাস্তবায়ন করা। এর পির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকা বাসির সঙ্গে কথা বলেও অবরোধ তোলেন না এলাকাবাসিরা।

তারপর জেলাশাসক না আশায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রানাঘাট মহকুমার মহকুমা শাসক রৌনক আগরওয়াল এবং রানাঘাট পুলিশ জেলার এস ডি পিও এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তারা এলাকাবাসীকে অস্বস্ত করলেও এলাকাবাসিরা তাঁদের অবরোধ প্রত্যাহার করেনা। অবশেষে অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসেন এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকাবাসীর দাবি কে মান্যতা দেওয়ায় এবং আজ থেকেই দাবি সুম পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিলে প্রশাসনিক অস্বস্ততায় এলাকাবাসী রা অবরোধ তুলে নেন।