চাকরি গেলে চাকরি দেব’, কঙ্গনার চড়কাণ্ডে অভিযুক্ত কুলবিন্দরকে আশ্বাস দিলেন বলি গায়ক

দপ করে জ্বলে ওঠা রাগ ঠিক কতখানি মারাত্মক হতে পারে, তার খানিকটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে। সদ্য নির্বাচনে জয়ী কঙ্গনা রানাউতকে চড় মারার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। আর তার পরই আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে সমাজযদিও এত কিছুর মধ্যে বলিউড কেন চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কঙ্গনা। বিনোদন দুনিয়া থেকে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও কিছু মানুষ কঙ্গনার সমর্থনে মুখ খুলেছেন ইতিমধ্যেই।অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে। নাম উল্লেখ না করেও কঙ্গনার পাশে দাঁড়িয়েছেন রবিনা টন্ডন।আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এতখানি হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ওই জওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু একেবারে উল্টো সুর ধরলেন বিশাল দাদলানি। সমাজমাধ্যমে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘কোনও রকম হিংসার ঘটনা সমর্থন করি না আমি। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর রাগের কারণ বুঝতে পারছি।’কুলবিন্দর কউরের পাশে দাঁড়িয়ে, সিআইএসএফ-এর তরফে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হলে, অর্থাৎ কুলবিন্দরের চাকরি গেলে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করলেন সুরকার।

তিনি দাবি করেছেন, কুলবিন্দরের জন্য কাজের ব্যবস্থা তিনি করেই রেখেছেন, পরিস্থিতি তেমন হলেই তিনি সে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এর পরই বিশাল লিখেছেন সেই স্লোগান ‘জয় হিন্দ, জয় জওয়ান, জয় কিসান।’উল্লেখ্য, অতীতে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনার অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে তাঁকে চড় মেরেছেন বলে দাবি করেছেন কুলবিন্দর।চড়কাণ্ডের পরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। এর পরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকে। পরে সাসপেন্ড ও গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অন্য দিকে, পুরো ঘটনাটি নিয়ে বলিউড তারকাদের মৌনতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নবনির্বাচিত সাংসদ। সমাজমাধ্যমে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আপনাদের সন্তানদের সঙ্গেও ঘটতে পারে। যাঁরা এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা উদ্‌যাপন করছেন, তাঁরা তৈরি থাকুন আগামী দিনে তাঁদের সঙ্গেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।’ যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন অভিনেত্রী।