খুনের নেপথ্যে কী কারণ? নজরে এবার সাংসদের বাল্যবন্ধুই, কিনারায় ‘চড়কি পাক’ দুঁদে গোয়েন্দাদের

ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত কোটি কোটি টাকা না পাওয়াতেই বাল্যবন্ধুকে খুন? নিউটাউনে বাংলাদেশের সাংসদ খুনে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে খবর, বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে সোনার ব্যবসা করতেন আজিম। কোটি টাকা বকেয়া ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আর সেই টাকা না পাওয়াতেই সাংসদকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সাংসদের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান।তবে সাংসদ খুনে এখনও রয়ে গিয়েছে বহু ধোঁয়াশা।এখনও উদ্ধার হয়নি সাংসদের দেহাংশ। মেলেনি খুনে ব্যাবহৃত ছুরিও। এই পরিস্থিতিতে আজই শহরে এসে খুনের বিষয়ে যাবতীয় তদন্তে আসছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল।

ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় তিন জন বাংলাদেশ থেকে এবং একজন সিআইডির হাতে ধরা পড়া পড়েছে। কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জেরা করতে পারে বাংলাদেশের গোয়েন্দা শাখা।শনিবারও দেহাংশের খোঁজে বাগজোলা খালের নির্দিষ্ট অংশে তল্লাশি অভিযান চালান সিআইডির আধিকারিরা। খুনে অভিযুক্ত জিহাদকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে দেহাংশ জিরেনগাছা ও কৃষ্ণমাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ওই স্থানে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়ে দেহাংশ উদ্ধার না হওয়ায় অভিযুক্তের বয়ান ঘিরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে আরও চার জন অভিযুক্ত শাহিন, সিয়াম, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর এখনও অধরা। তাদের খোঁজ পেতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ।