এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ! কৃষ্ণনগরের রাজমাতাকে হারানোর পেছনে, কাঠগরাই কিভাবে দাঁড়ালো খোদ বিজেপি? দেখুন, নদীয়ার বুকে তালা কান্ড…..

মলয় দে নদিয়া :- সবকিছু এখন অতীত, কারণ পুনরায় দেশে বিজেপি প্রতিষ্ঠা হলেও, যেন এক বড়সড়ো বিপর্যয়ের অভিশাপ কে বহন করে চলেছে, এই বিজেপি সরকার….শুরুতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র কে হারিয়ে, রানী মা জিতবে এই উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ছিল চরমে, কিন্তু নীরব ঘাতকের মতন সেই বিজেপিই যে রানীমার এমন হাল করে ছাড়বে দেখুন সেই ঘটনা…….গতকাল রাতে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সাথে এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে উঠে আসে বেসুরো নানান কথা। তবে বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তবে নাম না করলেও জেলা নেতৃত্বের অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে বারংবার, শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র অন্য আর পাঁচটা কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি টাকা এসেছিল এবং সুযোগ সুবিধা এসেছিলো, সেসব থেকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এমনকি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সেই সংক্রান্ত নানান কাগজপত্রও আটকে রাখার মতন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছিল গতকাল।

এবারে নিচু তলার কর্মী সমর্থকরা সেই দাবিকে মানতা দিয়ে সরাসরি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশ্রয় দাতা হিসেবে রাজ্যের ওজিএস অমিতাভ চক্রবর্তীরও পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। শুধু বিক্ষোভ নয় রীতিমতন বিজেপির পতাকা ফ্লেক্স নিয়ে তারা মিছিল করেন। তাদের আরও অভিযোগ পুরনো বিজেপি কর্মীরা যারা বিভিন্ন কারণে মান-অভিমানে বসেছিল তাদের সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করেনি জেলা সভাপতি এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সাথে রীতিমতন কথা হওয়া প্রার্থীর জন্য এই কেন্দ্রে এসেছিলো প্রচুর টাকা যা দিয়ে প্রচার এবং অন্যান্য খরচ করা যেত সেক্ষেত্রে ন্যূনতম দেয়াল লেখার পর্যন্ত অর্থ অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি কর্মীদের কাছে।

তারা সরাসরি অভিযোগ করে বলেন তৃণমূলের কাছ থেকে পর্যন্ত একটা মোটা অংকের টাকা নিয়ে ইচ্ছা করে জেতা সিট হারিয়ে দিয়েছে জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস এবং এর নেপথ্য মদত দাতা হিসেবে রয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব ও জি এস অমিতাভ চক্রবর্তী। তাই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বহিষ্কার না করলে আগামীতে এলাকার জেলায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে এবং লাগাতার আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবো। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।