এলাকার প্রধান থাকতেও, নদীয়ার এই মহিলা চাষীর কারা করলো এমন ক্ষতি? দেখুন, সেই ভয়াবহ ঘটনা…..

মলয় দে নদীয়া :- রোজ তিল তিল করে হাড়ভাঙ্গা খাটুনির সেই পরিশ্রম কিভাবে জলে গেল আজ?তবে কি সে মহিলা বলেই এমন অসহায়তার সুযোগ? নাকি যা ঘটানো হয়েছে তা পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক?দেখুন, কার রাগ কার উপর দেখাতে গিয়ে, নদীয়ার বুকে এ ঘটে গেল…….যদিও, এই মহিলার অভিযোগ ঘটনায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও নির্বিকার পঞ্চায়েত,সাহায্য করছে না পঞ্চায়েত প্রধানও। লোন নিয়ে চাষ করে সব হারিয়ে দেউলিয়া মহিলা চাষী ঘুরে বাড়াচ্ছে প্রশাসনের দরজায়। খোদ প্রধানের গ্রামেই মহিলার চাষ করা পাটের জমিতে বেনামী ওষুধ দিয়ে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে।

ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরী পাড়া এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা রানী মহাতোর অভিযোগ নদীর চড়ায় নিজেদের জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। তবে বিগত ৬দিন আগে এলাকারই এক যুবক এবং তাদের আত্মীয় নাম কুন্দন মাহাতো রানী দেবীর জমিতে গিয়ে পুরো জমির পাটে এই বেনামি ওষুধ দিয়ে সমস্ত পাটগাছ মেরে ফেলেছেন।

পরবর্তীতে রানী দেবী ওই যুবক কে প্রশ্ন করলে ওই যুবক কুন্দন মাহাতো তাকে জানায়, যতবার তিনি ওই জমিতে চাষ করবেন ততবারই এমন ঘটনা ঘটাবে।তবে, সর্বষ্য খুইয়ে এখন মাথায় হাত ওই মহিলা চাষীর। পরবর্তীতে তিনি শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানায় কুন্ডনের বিরুদ্ধে। পুলিশ আশ্বাস দিলেও এখনো কোনোরকম পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ রানী দেবীর।