মলয় দে নদীয়া :- সত্যিই যেন দুঃস্বপ্নের মতন লাগছে এই ঘটনা, কারণ যে মেয়েটি ২৪ ঘন্টা আগেও হেসে খেলে কথা বলছিল সকলের সাথে, আজ তার জীবনে কি এমন ঘটল যে, তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হলো?তবে কি, কুড়ি বছরের মৌমিতার হাতে ফোন দেওয়াই হলো বাড়ির কাল? নাকি সেই ভিডিও কলের পেছনেই জড়িয়ে রয়েছে কোন রহস্য….দেখুন, ছোট্ট মৌমিতা কে হারিয়ে নদীয়ার এই পরিবারটির আজ এ কেমন পরিণতি….জানা যায়, হাসিখুশি ফুলের মতন মিষ্টি যুবতীর নাম মৌমিতা সিকদার, বয়স কুড়ি। বাড়ি নদীয়ার শান্তিপুর দু’নম্বর রেল গেট সংলগ্ন এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল ওই যুবতীর মা সীমা সিকদার ও মৌমিতা একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন, এরপর যে যার মত ঘরে ঘুমোতে যায়।কিন্তু, মায়ের দাবি হঠাৎই মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখে মেয়ে তার নিজের ঘরে এমন কান্ড ঘটিয়ে পড়ে রয়েছে।
তবে, তৎক্ষণাৎ মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, ছুটে আসে এলাকার লোকজন এরপর মৌমিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতালে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশও ।যদিও, মেয়ের এমন পরিণতির প্রসঙ্গে, মা সীমা শিকদারের দাবি, মেয়ে মাঝে মধ্যেই করো না কারোর সাথে ফোনে কথা বলতো, কিন্তু মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এড়িয়ে যেত মৌমিতা। তবে কখনো মুখ খোলসা করে বলেনি কোন ঘটনাই। আর হঠাৎ করে এমন কি হলো?তবে, মেয়ে মৌমিতাকে কেন রাস্তা বেছে নিতে হলো রাস্তা! সেই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে মা সীমা শিকদারের মনে। তবে শনিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, অন্যদিকে ওই যুবতী কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
