একি বিয়ে বাড়ির ছাদনাতলা নাকি বিডিও অফিস কোনটা? দেখুন, সেই সমালোচনার আইবুড়ো ভাত কান্ড….

সংকল্প দে বর্ধমান :- প্রথম দর্শনে তো বুঝতেই পারবেন না, যেটা কোন সরকারি অফিস নাকি বিয়ে বাড়ির ছাদনাতলা….হঠাৎ করেই বেজে উঠল শাখ, শোনা গেল উলু ধ্বনি…কিন্তু হঠাৎ বিডি অফিসে এসব কেন?তবে আমাদের এই কথা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই, বরং একবার দেখার পালা আপনার সেই কান্ড…..টেবিলে থালাভর্তি করে সাজানো খাবারদাবার। এলাহী আয়োজন একেবারে। খাবার দাবার আবার ফুলের মালা দিয়ে সাজানো। টেবিলের ওপারে এক যুবকের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।

তার পরেই সেই যুবকের কপালে ফুল-চন্দন দিয়ে আশীর্বাদ করলেন এক মহিলা, তিনি আর কেউ নন তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকুলি তা গুপ্ত।মাথা ঝুঁকিয়ে তাঁকে প্রণামও করলেন ওই যুবক। পাশ থেকে বাজল শাঁখ। তার পরে প্রসন্ন মুখে খেতে বসলেন ওই যুবক।বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আইবুড়ো ভাতের আয়োজন চলছে। যিনি খেতে বসছেন, তিনিই পাত্র। এত অবধি সব ঠিকই ছিল।

কিন্তু ভিডিওয় দেখা গেছে, পিছনে হাসিমুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। যেন ছবি থেকে পাত্রকে আশীর্বাদ করছেন তিনিও।হবে নাই বা কেন। এ তো আর বাড়িতে আয়োজিত সাধারণ আইবুড়ো ভাত নয়! এই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের মধ্যে! পাত্রও সাধারণ কেউ নন, তিনি বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিও!বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকলী গুপ্ত তা এই ঘটনায় দোষের কিছু দেখছেন না।

তিনি বলেন বিরোধীদের কোনও কাজ নেই তাই খই ভাঁজছেন। অযথা সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র ঘটনার নিন্দা করে বলেন, দিকে দিকে এমন ঘটনা চোখে পড়ছে।এই বিষয়ে বর্ধমানের ১নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমেতির বিডিও রজনীশ কুমার যাদব বলেন কিছুদিন পরেই আমার বিয়ে পঞ্চায়েত সমেতির সবাই আমাকে ভালোবাসে তাই ভালোবেসেই এসবের আয়োজন করেছিলো,আর ওটা পঞ্চায়েত সমেতির অফিসে হয়নি ওটা বাইরে হয়েছিলো ,

বাইরে যে মিটিং হল আছে ওখানে হয়েছিলো।আর উনি আমার মায়ের বয়েসি উনি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন ,সেই আশীর্বাদের পরেই আমি ওনাকে প্রনাম করে আশীর্বাদটা নিয়েছি। তিনি আরও বলেন এটাতো আমাদের শিক্ষা কালচার ,যেটা আমরা ছোটবেলা থেকে দেখি এসেছি যারা আশীর্বাদ দেয় তাদেরকে প্রণাম করতে হয়।