একি চায়ের দোকান নাকি ডাক্তারবাবুর ডিসপেন্সারি? দেখুন, চায়ের কাপে চুমুক দিতেই, কি ঘটে গেল নদীয়ার বুকে…

মলয় দে নদীয়া :- গোটা পৃথিবীর মধ্যে এই চায়ের দোকান আর একটিও আছে কিনা তা যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে….কিন্তু তা বলে চায়ের দোকানে কিভাবে চলতে পারে এমন ওষুধের কারবার?দেখুন, নদীয়ার বুকে যে চায়ের দোকান দেখলে হয়তো, আপনি এক্ষুনি ছুটে যাবেন…..নদীয়ার শান্তিপুর শহরের কলেজের পাশেই একটি দোকানে কাগজের কাপ হাতে নিয়ে ভেষজ জুসে চুমুক দিয়ে চলে খোশ মেজাজে গল্প , তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সকাল ছয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কেউ মর্নিং ওয়াক করতে এসে কেউবা নানান ব্যস্ততার কাজের মধ্যে দিয়ে এই দোকানে একবার ঢু দিয়ে যান কখনো নিজে খেয়ে পরিবারকেও সুস্থ রাখতে বোতলে করে নিয়ে যান এই ভেষজ জুস।একদিকে যেমন ব্রাহ্মী শাক, কুলেখাড়া, থানকুনি সজনে র মত বহু গুণের পাতা রয়েছে তেমনি অর্জুন ছাতিম দারচিনি নানান ভেষজ ঔষধি গাছের ছালের রস, রয়েছে বিভিন্ন শিকড়েরও রস, আনারস বিভিন্ন ধরনের তুলসী কালমেঘ অ্যালোভেরা পুদিনা কারি পাতার রস। রয়েছে হল কাঁচা হলুদ বিট গাজর লাউ শসা সহ নানান উপাদানের রস।

আর এই রস নিয়মিত পান করেই কোনরকম ঔষধ ছাড়াই তাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ রয়েছে বলেই দাবি করেন সেই দোকানে আসা নিয়মিত খরিদ্দারেরা। নিয়মিত খরিদ্দারের সংখ্যা এখন প্রায় 40 জন। তবে রস যাই হোক দাম ১২০ ml কাগজের গ্লাসে মাত্র ১০ টাকা বেচারা জানাচ্ছেন এই দামে পাতি লেবুর শরবত মেলে , সেখানে এত রকমের উপাদান যা অত্যন্ত উপকারী তা পেতেই তাদের নিয়মিত আসা।কেউ জানাচ্ছেন সুগারের জন্য নিমপাতা কিংবা করোলার রস করা বাড়িতে যথেষ্ট সমস্যা, হাই প্রেসার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন থোড় কেটে তা রস করা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ প্রথম প্রথম তা বাড়িতে হলেও গাফিলতির কারণে আর খাওয়া হতো না, ওই দোকান হওয়ার পর থেকে নিয়মিত খাওয়া শুরু হয়েছে আবার তার ফলে রোগ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।শুধু রোগের জন্যই নয় অনেকেই আসেন যারা শুধুমাত্র সকালবেলায় ভেষজ বিভিন্ন ধরনের এই পথ্য খেতে।