অবশেষে অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে উদ্যোগী অর্থমন্ত্রক, জোটের প্যাঁচে মোদির নজর মধ্যবিত্তে

১০ বছর ছিল গরিষ্ঠতার শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, জনকল্যাণ, দেশবাসীকে প্রত্যক্ষ পরিষেবা প্রদান কিংবা মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়ানোর মতো পরিকল্পনা থাকবে না। বরং আর্থিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের মতো সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই সংখ্যার ‘শক্তি’র কাছে।সেই অতি আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসময় সরকারি অনুদানগুলিকে রেউড়ি বলা শুরু করেছিলেন। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তিনি ‘রেউড়ি কালচার’ বিরোধী। সেই সুর বজায় রেখেই গত বছর আভাস দেওয়া হয়েছিল, মোদি সরকার এখনই আর নতুন করে পে কমিশন গঠনের কথা ভাবছে না। সেই তুলনায় অনেক বেশি করে শোনা যাচ্ছিল সরকারি সংস্থা ও ব্যাঙ্ক বিক্রির কথা। কিন্তু একটিমাত্র নির্বাচন সব ভাবনা উল্টেছে। তৃতীয় টার্মে মোদি সরকার নিমেষে এনডিএ সরকারে পরিণত হওয়ার পর যেন মোহভঙ্গ হয়েছে আত্মবিশ্বাসের। তাই সরাসরি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তকে তুষ্ট করার যজ্ঞে ঝাঁপানো।

একমাস পর বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগেই সরকারের অন্দরে এবং কেন্দ্রীয় কর্মীদের মধ্যে জোরদার জল্পনা অষ্টম পে কমিশন নিয়ে। কারণ, এই কমিশন গঠনের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলছে। যদি সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির বাজেটেই তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে। যদিও একটি অভিমত হল, আসন্ন তিন রাজ্যের ভোটের আগে স্রেফ একটি প্রস্তাব খাড়া করে রাখতে পারে কেন্দ্র। যাতে আচমকা ভরাডুবির সংসারে খানিক খড়কুটো পাওয়া যায়।লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথম বক্তৃতায় দলের সদর দপ্তর থেকে মোদি বলেছিলেন, মধ্যবিত্ত‌ই দেশের চালিকাশক্তি। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। হঠাৎ এই উপলব্ধি কেন? ভোটপর্ব শুরুর আগেও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, এখন অপেক্ষার সময়। ২০৪৭ পর্যন্ত দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেলে এমনিতেই চাকরিজীবী শ্রেণি অনেক কিছু পাবেন।