অপারেশন টেবিল থেকে রোগীকে অজ্ঞান না করিয়ে, কেন বেপাত্তা হল এই ডাক্তার? দেখুন, সেই আজব কান্ড….

মলয় দে নদীয়া :- ডাক্তার সে তো আমাদের চোখে ভগবান, কিন্তু সেই ভগবানের তকমা নিয়ে তার ভক্তকে যে এমন অবস্থায় ফেলে চলে যাবে, যা হয়তো গোটা চিকিৎসক মহলের কাছে অত্যন্ত লজ্জার..কারণ, রোগীর অপারেশন হবে এসব কিছু ঠিকঠাক, এমনকি তাকে নিয়েও যাওয়া হয়েছে অপারেশন টেবিলে, আর এখানেই ঘটে গেল বিপত্তি….দেখুন বিস্তারিত..বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে এই টেবিল থেকে সেই টেবিল!শুধু কি তাই ! রীতি মতন, গত ১৫ ই জুন শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েতের দিব্য ডাঙ্গার বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী মিঠুন মন্ডল এবং শহরের বেরপাড়া সুবেদা ওস্তাগার লেনের বাসিন্দা ৪৭ বয়স বয়সি মোজাফফর ইসলাম জীবনের চরম শিক্ষা পেলেন চিকিৎসা করাতে গিয়ে।

দুজনের ক্ষেত্রেই হার্নিয়ার সমস্যা নিয়ে প্রাথমিকভাবে ডাক্তার দেখানোর পর সিদ্ধান্ত দেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে এই অপারেশন করাবেন সেই মর্মে তিনি ডঃ রাজশ্রী দের সাথে যোগাযোগ করেন। ডাক্তার বাবু তাদের ভর্তি করিয়ে নেন শনিবার, এরপর হাসপাতালের বেডে রবিবার সম্পূর্ণ রেস্টে থেকে সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক চলে বিভিন্ন ইনজেকশন ওষুধ কারণ দুপুরে হবে অপারেশন।

দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয় বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বলে দেয় এই অপারেশন আর সম্ভব নয় কিন্তু সেটা কবে হবে আদৌ কি হবে না সে সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত না দিয়েই তাদেরকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। তবে তারা জানতে পারেন সার্জেন্ট ডক্টর রাজশ্রী দে সেদিনও দুটো অপারেশন করেন তবে সে ক্ষেত্রে অজ্ঞানের ডাক্তারবাবুর প্রয়োজন হয়নি কিন্তু এরপর থেকে বেপাত্তা এনাস্থিসিস ডক্টর তরুণ বক্সী। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় তিনি অন কলে 24 ঘন্টায় ডিউটিতে থাকলেও প্রথমে কৃষ্ণনগরে পরবর্তীতে শান্তিপুর একটি নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতে ব্যস্ত।

আর সেই কারণেই নাকি সম্ভব হয়নি অপারেশন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি কিছুটা উপশম হতো যদি এরপরে তাদের আবার ডেকে নেওয়া হতো। কিন্তু,সেসব কোনো ব্যাপারই নয়, বরং মোজাফফর ইসলাম তারপর থেকে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন টাকা ধার করে বাধ্যতামূলক প্রাণ বাঁচাতে ভর্তি হন কালনারর একটি নার্সিংহোমে, সেখানে খরচ হওয়া কুড়ি হাজার টাকা কিভাবে জোগাড় করবেন এখন সেই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের!